মো: নাজমুল ইসলাম সবুজ শরণখোলা প্রতিনিধি। বাগেরহাটে শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা ও সাধারণ সম্পাদক আছাদুজ্জামান মিলন সহ ৯ নেতা-কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) জামায়াত ইসলামী নেতা কর্মীদেরকে মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের করা তিনটি পৃথক মামলায় তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বাগেরহাটের চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল্লাহ জানান আদালতের নির্দেশে গত মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর মামলা তিনটি নথিভুক্ত করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর শরণখোলার বিভিন্ন স্থানে জামায়াত ইসলামী নেতাকর্মীদেরকে মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কতিপয় নেতাকর্মীরা। এসব ঘটনায় উপজেলার রাজেশ্বর গ্রামের আবুল হাওলাদারের দায়ের করা মামলায় ৩২ জন, উত্তর সাউথখালী গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ১৪ জন এবং রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল হাসান মুন্সী বাদী হয়ে ১৫ জনসহ তিন মামলায় মোট ৬১ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
সকালে আত্মসমর্পণ করে আদালতে জামিন আবেদন করেন যারা- ১। আজমল হোসেন মুক্তা, ২। আসাদুজ্জামান মিলন ৩। জালাল আহমেদ রুমি, ৪। গিয়াস উদ্দিন ৫। হেলাল তালুকদার, ৬। শামীম তালুকদার,৭। আজমল হোসেন, ৮। সোহেল হোসেন, ৯। শরীফ খাইরুল ইসলাম।
তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।