পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডাকা চূড়ান্ত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয়া কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া ইসলামাবাদে আসতে থাকা এসব পিটিআই সমর্থকের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষও হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, ইমরানের কয়েক হাজার সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ তার মধ্যে দলের পাঁচজন সংসদ সদস্যও রয়েছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে ইসলামাবাদের অনেক জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে আসার সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লাহোরেও পুলিশ পিটিআইয়ের অনেক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, যেকোনো ধরনের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ও ইমরানের ঘনিষ্ঠ নেতা আলি আমিন গান্দাপুর ভিডিওবার্তায় বলেছেন, মানুষ যেন শহরের ডি চকে জমায়েত হন। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবিপূরণ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ওখানে অবস্থান করার জন্য ইমরান খান নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে বিবিসির লাইভ খবরে বলা হয়েছে, ‘ডি চৌক’ এলাকায় অর্থাৎ রাজধানীর প্রবেশমুখে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর নিক্ষেপ করছে, যার ফলে ১৪ জন কর্মকর্তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পিটিআই কর্মীরা দাবি করেছেন, পুলিশ জনতাকে লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়ছে এবং লাঠিচার্জ করছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, সোমবার সকালে ইসলামাবাদজুড়ে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডি চৌকে পিটিআইয়ের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন।
নির্বাচনে গণরায় চুরি, বেআইনি গ্রেফতার এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনীর প্রতিবাদে ১৩ নভেম্বর এই বিক্ষোভের ডাক দেন কারাবন্দি ইমরান খান। পিটিআইএর এই কর্মসূচিকে বেআইনি ঘোষণা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
ইসলামাবাদে দুই মাসের জন্য পাঁচ বা তার অধিক মানুষের সমাবেশ নিষিদ্ধ বা ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এছাড়া সাময়িকভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে সরকার। বৈশ্বিক ইন্টারনেট নজরদারি সংস্থা নেটব্লকস এক্স-এ জানিয়েছে, বিক্ষোভের আগে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজিং সেবাও নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। সময় নিউজ