ইজতেমা মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে যোবায়ের ও সাদপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৩ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিব ইস্কান্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু এলাকার বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০) এবং নবগুড়ার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (৬৫)।
আহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- আ. রউফ (৫৫), মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), হান্নান (৫৫), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪), উকিল মিয়া (৫৮), পান্ত (৫৫), খোরশেদ আলম (৫০), বেলাল (৩৪), আবু বক্কর (৫৯), আরিফুল ইসলাম (৫০), আনোয়ার (৫০), আনোয়ার (২৬), আনোয়ার (৭৬), ফোরকান আহমেদ (৩৫), দেলোয়ার হোসেন (৫৬), ফয়সাল (১৮), আলাউদ্দিন (৩৫), রিশাদ (৩০), নুরুল হাকিম (৩০), সালাউদ্দিন ভূঁইয়া (৫০), সাদ (২১) এবং সিয়াম ( ২৪)।
ওসি বলেন, রাতে ইজতেমা মাঠে মারামারির ঘটনায় দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। একজন লোকাল হাসপাতালে, আরেকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে।
তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষ দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভি এবং বাংলাদেশের কাকরাইল মারকাজের মাওলানা জুবায়ের আহমদের অনুসারীদের বিরোধের শুরু ২০১৯ সালে।
আগে এক মঞ্চ থেকে একবারই বিশ্ব ইজতেমা হলেও মতভেদের কারণে দুই পক্ষ বিশ্ব ইজতেমা দুইবারে করার সিদ্ধান্ত নেয়। মাঝে কোভিড মহামারীর কারণে ইজতেমা দুই বছর বন্ধ থাকে। ২০২২ সাল থেকে ফের ইজতেমা হচ্ছে দুই পর্বের আয়োজনে।
সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবারও টঙ্গীর তুরাগ তীরে দুই পর্বে হবে তাবলীগ জামাতের সবচেয়ে বড় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা।
আগামী বছর প্রথম পর্বে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি ইজতেমায় অংশ নিবেন ‘জুবায়েরপন্থিরা’ এবং দ্বিতীয় পর্বে ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অংশ নিবেন ‘সাদপন্থিরা’।