ডেস্ক নিউজ। সারা দেশে ৭০০ থেকে ৮০০ এর মতো ‘আয়নাঘর’ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “এ রকম টর্চার সেল সারা বাংলাদেশজুড়ে আছে। আমার ধারণা ছিল, এখানে আয়নাঘর বলতে যে কয়েকটা আছে তা-ই। কিন্তু এখন শুনলাম, আয়নাঘরের ভার্সন সারা দেশজুড়ে আছে। কেউ বলছে ৭০০, কেউ বলছে ৮০০।”
আয়নাঘর পরিদর্শনের পর নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “নৃশংস অবস্থা। প্রতিটি জিনিস যে হয়েছে এখানে, যতটাই শুনি অবিশ্বাস্য মনে হয়। এটা কী আমাদেরই জগত, আমাদেরই সমাজ। আমরা কী এটা করলাম। যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা এটার শিকার হয়েছে তারাও আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের মুখ থেকে শুনলাম- এটা কীভাবে হয়েছে।”
অধ্যাপক ইউনূস জানান, গুম কমিশনের প্রতিবেদনে আয়নাঘরের ডকুমেন্টেশন বাধ্যতামূলক করা হবে। একইসঙ্গে যারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তাদের বিচার করা হবে। এসব তথ্য-প্রমাণ সিলগালা করে রাখা হবে এবং বিচারের জন্য ব্যবহৃত হবে।
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, দেশের সব কয়টি আয়নাঘর খুঁজে বের করা হবে।