টেলিগ্রাফ ডেস্ক ।
হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতণ্ডার পর ক্ষমা চাইতে নারাজ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, এই দ্বন্দ্ব ইউক্রেনের শান্তির জন্য ভালো কিছু বয়ে আনেনি।
যুক্তরাজ্য সফর শেষে ইউক্রেনের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেলেনস্কি বলেন, প্রকাশ্যে এমন আলোচনা হলে শত্রুরা সুযোগ নেয়। তবে তিনি আশা করছেন, এই ঘটনা এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।
তিনি জানান, বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। খনিজ সম্পদ চুক্তিও স্বাক্ষর হয়নি। ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্সের ‘অতর্কিত বাক্–আক্রমণ’ নিয়ে কিছু বলতে চাননি জেলেনস্কি। তবে, মতভিন্নতা নিরসনে ফের আমন্ত্রণ পেলে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবেন।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আদায়ে এখনই হোয়াইট হাউসে যেতে চান না জেলেনস্কি। তিনি জানান, ট্রাম্পের আমন্ত্রণে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে হোয়াইট হাউসে যাওয়া তার সৌজন্য ছিল।
হোয়াইট হাউসে সামরিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করার অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, তিনি যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের শান্তি প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেন। তিনি জানান, লন্ডন সম্মেলনে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এক মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়েও তিনি অবগত।
জেলেনস্কি স্পষ্ট করে বলেন, ইউক্রেন শান্তি চায়, কিন্তু রাশিয়ার দখল করা এলাকা মেনে নেবে না। নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে তবেই তিনি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন।
তিনি বলেন, রাশিয়া দখল করা এলাকা ‘সাময়িক দখল’ হিসেবেই বিবেচিত হবে। এমনকি পুরো ইউক্রেন দখল করলেও তাদের তাড়ানোর মতো সামরিক শক্তি ইউক্রেনের না থাকলেও সেটাই মনে করা হবে।
জেলেনস্কি চান, অংশীদাররা হোয়াইট হাউসে এই বার্তা পৌঁছে দিক যে, তিন বছর আগে রাশিয়া তাঁর দেশে পুরো মাত্রায় অভিযান চালিয়েছিল। তিনি ইতিহাস পুনর্লিখন চান না।
হোয়াইট হাউসের বৈঠকে জেলেনস্কি ট্রাম্পকে উসকানি দিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি পুতিনকে ‘জাতিবিদ্বেষী’ বলেছিলেন। ট্রাম্প অবশ্য রুশ প্রেসিডেন্টের যুক্তিও জানতেন। ক্যামেরা বন্ধ হওয়ার পর কী ঘটেছিল, তা জানাতে চাননি জেলেনস্কি। চুক্তি ও মধ্যাহ্নভোজ ছাড়াই তিনি হোয়াইট হাউস ছাড়েন।