ডেস্ক নিউজ।
কাতারের রাজধানী দোহায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের নেতা খলিল আল-হাইয়ার সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের মার্কিন জিম্মি বিষয়ক দূত অ্যাডাম বোহেলার। রোববার (৯ মার্চ) অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আমেরিকা-ইসরাইল দ্বৈত নাগরিক এক বন্দির মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে ইসরাইলকে না জানিয়ে হামাসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি আলোচনা তেল আবিবের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, বৈঠক শেষে বোহেলার বলেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শুধু মার্কিন নয়, সব বন্দিকে মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী। তবে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে যুক্তরাষ্ট্র, তাই তাদের সঙ্গে আলোচনা করা তার জন্য ‘অস্বাভাবিক’ ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ভবিষ্যতে হামাসের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তিনি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও হামাসের আলোচনাকে ব্যর্থ দাবি করেছে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম। বৈঠকের অগ্রগতির খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যদিও ওয়াশিংটন বা হামাস—কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
তেল আবিবের অসন্তোষ প্রসঙ্গে বোহেলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘ইসরাইলের এজেন্ট’ নয়, বরং ওয়াশিংটনের নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে। অন্যদিকে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা এগিয়ে নিতে সোমবার কাতারে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ইসরাইল। নেতানিয়াহুর সরকার মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশরের অনুরোধে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি চ্যানেল টুয়েলভ।
এছাড়া, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ বাড়ানোর লক্ষ্যে মঙ্গলবার কাতারে সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। তবে আলোচনার আগে হামাসের ওপর চাপ বাড়াতে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল। এর আগে, গাজায় সব ধরনের ত্রাণের সরবরাহও আটকে দেয় তেল আবিব।