রায়হান উদ্দিন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ।
স্কাউটের মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে নিজেকে আত্মপ্রত্যয়ী, পরোপকারী, আত্মনির্ভরশীল ও দেশপ্রেমিক হওয়ার অঙ্গিকারে স্কাউট কাবদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লড়াইয়ে ২০২৩সনে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে স্কাউটের সর্বোচ্চ পদক ‘শাপলা কাপ অ্যাওয়ার্ড’ পেলো ২৪জন। বাংলাদেশ স্কাউটসের পরিচালক (প্রোগ্রাম) মোসা. মাহফুজা পারভীন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। বুধবার (১২ মার্চ/২০২৫) চন্দপাড়া মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ কুমার নন্দী এএলটি এ ফলাফল নিশ্চিত করেন।
তারা হলেন চন্দপাড়া মুক্ত স্কাউট গ্রুপের মোছা. নিলিমা, মো. ইয়াছীন আরাফাত লামীম, মো. ইয়াসিন আরাফাত সাঈম, মোছা. সুমাইয়া আক্তার, ইভা আক্তার মানহা, গাউছিয়া নুসরাত আদিবা, পূর্ণিমা চৌধুরী পড়শী, ফাতিমা আক্তার ইজমা, স্নিগ্ধা ভৌমিক, তফসিকুল হাসান মাহিম, নুশরাত জাহান বুশরা, আসমাউল হুসনা আনিকা, স্বর্গদীপ সরকার, গজন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তাহমিন ইসলাম আদিব, মো. রেজুয়ান, ইয়ামিন আরাফাত জেসান, তরিকুল ইসলাম সাইফ, নিরব হাসান, গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আমিনা সাদাফ তাশমি, রিফাহ তাসনিয়া তরী, কাশফিয়া জাহান তৃপ্তি, তায়িবাহ তাবাসুসম মৌ, ঝাউগাই আলিম উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফারিজা জান্নাত তমা ও শেখ লেবু স্মৃতি পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হ্রষিকেশ মিশ্র।
রিফাহ তাসনিয়া তরী দৈনিক যুগান্তরের গৌরীপুর প্রতিনিধি মো. রইছ উদ্দিন ও প্রতিভা মডেল স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হোমায়রা শাহরিন তুলির কন্যা। সে গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শাপলা কাপ অ্যাওয়ার্ড অর্জনের ধাপ অতিক্রম করে। বর্তমানে গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তরী জানান, লেখাপড়ার পাশাপাশি কাব স্কাউটের মাধ্যমে বাগান পরিচর্যা, বৃক্ষরোপন, মানুষের সেবা করা, ডেঙ্গু প্রতিরোধ, বাল্যবিয়ে বিরোধী প্রচারণাসহ সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। একজন ডাক্তার হয়ে, ভবিষ্যতে মানবকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে চান। কাশফিয়া জাহান তৃপ্তি গোবিন্দনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কামাল হোসেনের কন্যা। সে ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়।
‘যথাসাধ্য চেষ্টা করিবো’ এ মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে কাবিং কার্যক্রম, মানবিক, সামাজিক ও পরিবেশ রক্ষায় অবদানের জন্য শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে তাহমিন ইসলাম আদিব। সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা হতে চায়। আদিব এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা পদকে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করে। সে গজন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। আদিব গৌরীপুর যুগান্তর স্বজন সমাবেশে ক্ষুদে সক্রিয় স্বজন ও তার মা ইসরাত জাহান লাকী গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ স্বজনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আদিব স্বজন সমাবেশের কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাংকনসহ একাধিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান হয়।
ডাক্তার হতে চায় তফসিরুল হাসান মাহিম। সে ভাংনামারীর বারুয়ামারী গ্রামের মোবারক হোসেন ও আছিয়া খাতুনের পুত্র। সে বর্তমানে বারুয়ামারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। একই এলাকার মো. শফিকুল ইসলাম ও সাদিয়া পারভীন রানু’র কন্যা নুসরাত জাহান বুশরাও ডাক্তার হতে চায়। ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় মো. আল আমিন ও লিমা আক্তারের পুত্র ইয়াছিন আরাফাত লামীম। ডৌহাখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা চৌধুরী পড়শি। তার জীবনের লক্ষ্য ডাক্তার হওয়া। সে অনুপম চৌধুরী ও বিউটি রাণী করের কন্যা। বারুয়ামারী স্কুরের ইয়াছিন আরাফাত সাঈম হতে চায় ব্যাংক কর্মকর্তা। সে হাসানুল্লাহ সবুজ ও রিনা বেগমের পুত্র। ডাক্তার হতে চায় ইভা আক্তার মানহা। সে বারুয়ামারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। সে ইসমাঈল হোসেন ও মোসা. শিউলী বেগমের কন্যা। একজন কৃষি কর্মকর্তা হতে চায় মোছা. ফাতিহা আক্তার ইজমা। সে ডৌহাখলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। সে মোহাম্মদ শাহজালাল ও মোছা. জেসমিন আক্তারের কন্যা।
গজন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাব সদস্য হিসাবে তরিকুল ইসলাম সাইফ শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। সে হতে চায় একজন সেনা অফিসার। সে গজন্দর এলাকার মো. শফিকুল ইসলাম ও মোছা. তাছলিমা বেগমের পুত্র। গৌরীপুর আরকে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। একই এলাকার মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মোছা. রওশন আক্তারের পুত্র মো. রেজুয়ান স্বপ্ন দেখতে একজন সেনা অফিসার হওয়ার। নুরুল আমি খান উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত নিরব হাসান একজন সেনা কর্মকর্তা হতে চান। সে মো. সুমন মিয়া ও মোছা. সেতারা বেগমের পুত্র। একই বিদ্যালয়ের এয়ামিন আরাফাত জেসানও সেনা কর্মকর্তা হতে চায়। সে মো. নুরুল আমিন ও রোকসানা পারভীনের পুত্র।