ডেস্ক নিউজ।
২০২৪ সালের গণআন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের করা পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (১ জুন) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অপরদিকে, মামলায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।
এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয় রোববার সকালে, যা বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পুনর্গঠনের পর দায়ের হওয়া প্রথম বিবিধ মামলা।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে পরিচালিত এক গণআন্দোলনের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। সরকার পতনের পর ১৪ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার প্রাথমিক অভিযোগ দাখিল করা হয়, যার তদন্ত শুরু হয় ১৪ অক্টোবর এবং শেষ হয় ১২ মে ২০২৫। ছয় মাস ২৮ দিনব্যাপী তদন্ত শেষে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে।
অভিযোগে বলা হয়, আন্দোলন দমন করতে গিয়ে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হয়, যাতে প্রাণ হারান প্রায় দেড় হাজার মানুষ।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর। এরপর তদন্তের অগ্রগতিতে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে এবং জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে।