ঢাকা, ৯ জুন: ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশেও ফের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সব স্থল ও বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং এবং নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসাথে, প্রয়োজন ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে অমিক্রনের নতুন সাব-ভেরিয়েন্ট, বিশেষ করে এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১-এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সম্ভাব্য বিস্তার রোধে সকল প্রবেশপথে, বিশেষ করে স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের আইএইচআর (IHR-2005) ডেস্কে নজরদারি জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পরিচালক ফরহাদ হোসেন উল্লেখ করেছেন যে, সাধারণত গরম ও গুমোট আবহাওয়ায় করোনাভাইরাস বেশি সংক্রমিত হয়। তার তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিল মাসে দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৩ জন, যা মে মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ জনে। চলতি জুন মাসের প্রথম আট দিনে ৩৬ জন নতুন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং একজন মৃত্যুবরণ করেছেন।
সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: নিয়মিত সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২৩ সেকেন্ড হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা, আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করা এবং হাঁচি-কাশির সময় বাহু, টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা।
এছাড়াও, দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য থার্মাল স্ক্যানার বা ডিজিটাল হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন-টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সন্দেহজনক রোগীদের ঘরে থাকার এবং মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে।