নিজস্ব প্রতিনিধি। সাতক্ষীরার শ্যামনগরে উপকূল অঞ্চল দ্বীপ বেষ্টিত গাবুরা ইউনিয়নে মেগা প্রকল্পের স্থায়িত্বশীল করতে সামাজিক বন বিভাগ যশোরের উদ্যোগে বেড়িবাঁধে বনায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। “পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সোমবার বিকেলে গাবুরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধে বনায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।
ইউনিয়নটির চারপাশে খোলপেটুয়া, আড়পাংগাশিয়া, কপোতাক্ষ নদী দ্বারা বেষ্টিত। এখানে ৪০ হাজার মানুষের বসবাস। সিডর, আইলা, আম্ফান থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ গাবুরাতে আঘাত এনেছে। ফলে রাস্তাঘাট, স্কুল, মাদ্রাসা, স্বাস্থ্য চিকিৎসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ বেড়ীবাঁধ নাজুক হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সরকারি উদ্যোগে বেড়িবাঁধ রক্ষায় গাবুরা ইউনিয়নে ১ হাজার ২৩ কোটি টাকায় মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান। প্রকল্পের অংশ হিসেবে সামাজিক বনায়ন যশোর এর উদ্যোগ কর্মসূচিতে ১০ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির লবণ সহনশীল তেতুল, নিম, কদবেল, অর্জুন, খয়ের, পরেশ, খৈয়া বাবলা গাছের চারা বেড়িবাঁধে লাগানো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কার্বন সংরক্ষণের জন্য যেন বায়ুমণ্ডলের কম কার্বন নিঃসরণ, জীব বৈচিত্র রক্ষা এবং বেড়ীবাঁধ সংরক্ষণের জন্য গাবুরা ইউনিয়নে বেড়িবাঁধে বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন লবণ সহনশীল জাতের বিভিন্ন গাছের চারা লাগানো হবে বলে জানান সহকারী বন সংরক্ষক প্রিয়াঙ্কা হালদার।
বাঁধের পাড়ে বসবাস রত জালিয়া খালীর স্থানীয় আব্দুল জলিল (৭৫) দীন দয়াল সরদার (৭২) বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হই। নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙানোর কারণে আমাদের বাড়িঘর সব নদীতে চলে গেছে এখন বাঁধের উপরে বসবাস করি। বেশি বেশি চরবনায়নের কারণে উপকূল সহ গাবুরা রক্ষার বাঁধ সুরক্ষা থাকবে। পাশাপাশি সবুজ বনায়নের কারণে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারি।
বনায়ন কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ বিল্লাহ, ফরেস্টার আছাফুর রহমান, পিএম পিরামিন ইসহাক, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযূষ বাউলিয়া পিন্টু, পানি উন্নয়ন বোডের প্রতিনিধি আল মামুন ইসলাম, গাবুরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে ইউ পি সদস্য শহীদুল্লাহ গাজী সহ শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।