1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
শ্যামনগরে থ্যালাসেমিয়া রোগীকে রক্ত না দিয়ে ওয়ার্ড থেকে বের করে দিলেন নার্স - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন

শ্যামনগরে থ্যালাসেমিয়া রোগীকে রক্ত না দিয়ে ওয়ার্ড থেকে বের করে দিলেন নার্স

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫
  • ৪৭ জন খবরটি পড়েছেন
ছবি- থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত আবু সাঈদ

প্রতিনিধি, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর মুমূর্ষ থ্যালাসেমিয়া রোগীকে ওয়ার্ডে রক্ত না দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকা প্রিয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাত নয়টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত রোগী হলেন উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের পাশে খালি গ্রামের ইয়াসিন গাজীর ছেলে আবু সাঈদ (১১)।

আবু সাঈদের মা মর্জিনা খাতুন বলেন, আমার ছেলে তিন মাস বয়স থেকে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। প্রতিমাসে রক্ত দিতে হয়। আমি বাচ্চাকে নিয়ে সকাল আটটার সময় শ্যামনগর হসপিটালে ওয়ার্ডে বসে ছিলাম রক্ত যোগাড় করতে পারছিলাম না। রক্তের গ্রুপ বি নেগেটিভ হওয়ায় রক্ত জোগাড় করতে রাত প্রায় ৯ টা বেজে যায়। জরুরিভাবে ভর্তি করে ওয়ার্ডে রক্ত দিতে গেলে নার্স রক্ত দিতে পারবে না বলে আমাকে বাচ্চা নিয়ে চলে যেতে বলে। আমি তখন কাকুতি মিনতি করে বলি বাচ্চাকে রক্ত না দিলে বাচ্চা মারা যাবে আপনি রক্তটা দেন। আমার বাচ্চার কোন ক্ষতি হলে আপনাদের দায় থাকবে না। তারপরও সে আমাকে বেরিয়ে যেতে বলে। পরে আমি বাচ্চা নিয়ে জরুরি বিভাগে গেলে তারা আমার বাচ্চাকে ওইখানে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।

তিনি আরো বলেন, ওই নার্স তিন মাস আগে রক্ত দেওয়া অবস্থায় আমাদেরকে সাতক্ষীরায় পাঠিয়ে দেয়। এর আগেও আমার দুইটা সন্তান রক্তস্বল্পতার কারণে মারা গিয়েছে। এই সন্তানের অবস্থাও খারাপ। বি নেগেটিভ রক্ত হওয়ার কারণে জোগাড় করতে খুব কষ্ট হয়।

অভিযোগের বিষয়ে নার্স প্রিয়া বলেন, রাতে রক্ত দিলে বহু সমস্যা হয়। রাতে ডাক্তার ঠিকমতো পাওয়া যায় না। তাই আমি তাকে বলেছিলাম জরুরী বিভাগের ডাক্তার আছে কিনা একটু দেখে আসেন। এর বেশি তাকে আমি কিছু বলিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জিয়াউর রহমান এর কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন ঘটনা ঘটার কথা না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews