উত্তর ইরাকে একটি গুহার ভেতর অভিযানে গিয়ে মিথেন গ্যাসের ক্ষতিকর প্রভাবে ১২ জন তুর্কি সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে মন্ত্রণালয় জানায়, এই ঘটনায় ‘আরও ৪ জন বীর সহযোদ্ধা’ মিথেন গ্যাসের প্রভাবে মারা গেছেন, যার ফলে মোট নিহতের সংখ্যা ১২ জনে দাঁড়িয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এই ঘটনাটি রবিবার (৬ জুলাই) ঘটেছে, যখন সেনারা ২০২২ সাল থেকে নিখোঁজ থাকা একজন তুর্কি সৈনিকের দেহাবশেষ উদ্ধারের জন্য অনুসন্ধান চালাচ্ছিল, যাকে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) জঙ্গিরা হত্যা করেছিল। তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র পিকেকে-কে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পিকেকে বহু বছর ধরে কুর্দি স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করছিল, যা এখন শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, সশস্ত্র জঙ্গিদের একসময় হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্থানে ১৯ জন সৈনিক গ্যাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন। বাকি সাতজন সৈনিকের অবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট ছিল না। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায় এক্স-এ লিখেছেন, “মিথেন গ্যাসের প্রভাবে আক্রান্ত আমাদের বীরদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
সৈনিকরা মেটিনা অঞ্চলের ৮৫২ মিটার (২,৭৯৫ ফুট) উচ্চতায় একটি গুহার ভেতরে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিলেন। এই অভিযানটি তুরস্কের চলমান ‘অপারেশন ক্ল-লক’-এর অংশ, যার লক্ষ্য উত্তর ইরাকে পিকেকে-এর অবস্থানগুলো।
যদিও মিথেন গ্যাস বিষাক্ত হিসেবে বিবেচিত নয়, তবে বদ্ধ জায়গায় অক্সিজেনের অভাবে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। মন্ত্রণালয় এখনো স্পষ্ট করেনি কিভাবে গুহার ভেতরে এত গ্যাস জমা হয়েছিল।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোগান এই ঘটনায় “গভীর শোক” প্রকাশ করেছেন এবং নিহত সেনাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসার গুলার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং নিহতদের শ্রদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিতে ঘটনাস্থলে গেছেন।