ডেস্ক নিউজ।
১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছালেও তা নিয়ে আস্থা রাখতে পারছে না তেহরান। সম্ভাব্য নতুন আক্রমণের আশঙ্কায় দেশটি দ্রুত প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
এরই মধ্যে চীন থেকে অত্যাধুনিক সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা (HQ-9 ও HQ-16) সংগ্রহ করেছে ইরান। মিডল ইস্ট আই ও আরব গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, ২৪ জুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপরই এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে পৌঁছায়।
এই সিস্টেম ইরানের আকাশসীমার ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের জন্য ইরানের আকাশে প্রবেশ করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
ইরানের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিনিময়ে চীনকে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করছে তেহরান। চীন বর্তমানে ইরানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা, এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে ইসরায়েল ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ও সামরিক গবেষকদের লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালায়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরানও ইসরায়েলের তেলআবিব ও হাইফার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানে।
ইরান বর্তমানে রাশিয়ার এস-৩০০ ছাড়াও নিজস্ব প্রযুক্তির খোরদাদ ও বাভার-৩৭৩ সিস্টেম পরিচালনা করলেও, মার্কিন স্টেলথ যুদ্ধবিমান F-35 প্রতিরোধে তা পুরোপুরি কার্যকর নয়। ফলে চীনা HQ-9 ও HQ-16 ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষার ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে দেখছেন অনেক পর্যবেক্ষক।
চীন পূর্বে পাকিস্তান ও মিসরের মতো মিত্রদের কাছেও এই সিস্টেম সরবরাহ করেছে। এবার ইরানেও এই সরঞ্জাম হস্তান্তর মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।