1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
অর্থের অভাবে শিশু মিমের কিডনী চিকিৎসা বন্ধের উপক্রম - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০২:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ, বগা ফেরিঘাটের ইজারা বাতিল ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে কানাডা: মার্কিন বিরোধিতা স্পষ্ট ক্যালিফোর্নিয়ায় এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট প্রাণে বাঁচলেন দলীয় বিশৃঙ্খলায় বিএনপির ‘জিরো টলারেন্স’, একদিনেই বহিষ্কার ২০ সাপের ছোবলে মৃত্যু, প্রতিশোধে কাঁচা চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে ট্রাম্পের পাল্টা আঘাত: ভারতীয় পণ্যে ২৫% শুল্ক, নিষেধাজ্ঞা ৬ কোম্পানির ওপর জুলাই যোদ্ধা’দের শাহবাগ অবরোধ, দাবি আদায়ে অনড় চাঁদা না দেওয়ায় হামলা, কোটি টাকার মাছ লুট: ‘প্যান্ডামিক ফিশারিজ’ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ এই সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মৌলবাদ- প্রেসক্লাবে হিন্দু মহাজোটের কড়া বার্তা কুড়িগ্রাম-এ সাপের ছোবলে সাপুড়ের মৃত্যু

অর্থের অভাবে শিশু মিমের কিডনী চিকিৎসা বন্ধের উপক্রম

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫
  • ১৬ জন খবরটি পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিনিধি।
অর্থের অভাবে সাত বছরের শিশু মিমের জটিল কিডনী চিকিৎসা বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। মিম সুলতানা সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের শিষাস গ্রামের মাসুদ রানা মিঠুন ও সেলিনা সুলতানা দম্পতির দুই মেয়ের মধ্যে বড়। সে স্থানীয় ৮৩ নং নাগনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।

জানা যায় দুই মাস আগে হঠাৎ মিমের চোখ-মুখ ফুলে যায়। শুরুতে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ গ্রহনের পর স্বল্প সময়ের জন্য ভাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে আবারও একই অবস্থা হলে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা হার্ট ফাউন্ডেশনে নেয়া হয়। প্রথমে ডাঃ অসীম কুমার এবং পরবর্তীতে ডাঃ ফয়সাল আহমেদ জানান জটিল কিডনী রোগে আক্রান্ত মিম। তাকে সুস্থ করতে হলে দামী ইনজেকশনসহ ব্যয়বহুল চিকিৎসা আশু প্রয়োজন। অন্যথা পরবর্তীতে দু’টি কিডনীই বিকল হয়ে যাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে।

মিমের বাবা মাসুদ রানা মিঠুন জানান, চিকিৎসকরা সাত হাজার টাকা দামের একাধিক ইনজেকশন ব্যবহারের কথা বলেছে। কিন্তু আর্থিক সমস্যা থাকায় দু’টির বেশী পারেননি। শাররীক অক্ষমতার কারনে নিজে পিতার উপর নির্ভরশীল জানিয়ে মিঠুন আরও বলেন, আবারও ভাল হয়ে যাবে কিনা- মিমের এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না তিনি। দুই মেয়ের মধ্যে বড় মিমের চিকিৎসায় তিনি সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য প্রার্থনা করেন। মিমের বাবা মাসুদ রানার বিকাশ নম্বর ০১৩৩৬-১২৮১৬৯ ।

মিমের মা সেলিনা সুলতানা জানান কোন রকমে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতে হয়। বিপরীতে সন্তানের চিকিৎসা খরচ যোগাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। ইতিমধ্যে মানুষের সাহায্য নিয়ে ডাক্তার দেখানোসহ দু’টি ইনজেকশন দিতে পারলেও কোনভাবে আর এগুতে পারছে না। দয়াশীল মানুষের সাহায্য নিয়ে সন্তানকে সুস্থ করে আবারও তার বিদ্যালয়ে পাঠাতে চান অহসায় ঐ গৃহবধু।

সহপাঠীরা যখন বই খাতা নিয়ে স্কুলে যেতে ব্যস্থ তখন সাত বছরের মিম ঘরবন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে শাররীক অসুস্থতায়। প্রতিবেশী আর পরিবারের সমবয়সীরা যখন খেলাধুলায় মত্ত্ব একই সময়ে ঐ শিশুকে শয্যায় শুয়ে কাটাতে হচ্ছে প্রতিটা ক্ষন।

এদিকে শাররীকভাবে কর্মক্ষমতা হারানো পিতার সামর্থ্য নেই কন্যার ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানোর। পৈত্রিকসুত্রে প্রাপ্ত বসবাসের দুই কাঠা জমি বিক্রি করতে হলে রাস্তা ছাড়া মাথা গোঁজারও ঠাই মিলবে না।
এমতাবস্থায় দিনে দিনে শাররীক পরিস্থিতি জটিল পর্যায়ে চলে যাচ্ছে প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী মিম সুলতানার। অসহায় আর অপলক দৃষ্টিতে পিতা-মাতার মত সে-ও তাকিয়ে আছে সহায়তার আশায়। স্বপ্ন দেখছে সমাজের বিত্তবান আর মহানুভবতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের সাহায্যে অন্য শিশুদের মত স্বাভাবিক জীবনে ফেরার।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী বলেন পরিবারটির আর্থিক অবস্থা বলতে কিছুই নেই। তাদের দেযা সাহায্য নিয়ে এতদিন ডাক্তার দেখানোসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছে। তবে ব্যয়বহুল চিকিৎসার জন্য তার অসহায় পিতা মাতা এখন মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews