নিজস্ব প্রতিনিধি।
অর্থের অভাবে সাত বছরের শিশু মিমের জটিল কিডনী চিকিৎসা বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। মিম সুলতানা সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের শিষাস গ্রামের মাসুদ রানা মিঠুন ও সেলিনা সুলতানা দম্পতির দুই মেয়ের মধ্যে বড়। সে স্থানীয় ৮৩ নং নাগনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায় দুই মাস আগে হঠাৎ মিমের চোখ-মুখ ফুলে যায়। শুরুতে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ গ্রহনের পর স্বল্প সময়ের জন্য ভাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে আবারও একই অবস্থা হলে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা হার্ট ফাউন্ডেশনে নেয়া হয়। প্রথমে ডাঃ অসীম কুমার এবং পরবর্তীতে ডাঃ ফয়সাল আহমেদ জানান জটিল কিডনী রোগে আক্রান্ত মিম। তাকে সুস্থ করতে হলে দামী ইনজেকশনসহ ব্যয়বহুল চিকিৎসা আশু প্রয়োজন। অন্যথা পরবর্তীতে দু’টি কিডনীই বিকল হয়ে যাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে।
মিমের বাবা মাসুদ রানা মিঠুন জানান, চিকিৎসকরা সাত হাজার টাকা দামের একাধিক ইনজেকশন ব্যবহারের কথা বলেছে। কিন্তু আর্থিক সমস্যা থাকায় দু’টির বেশী পারেননি। শাররীক অক্ষমতার কারনে নিজে পিতার উপর নির্ভরশীল জানিয়ে মিঠুন আরও বলেন, আবারও ভাল হয়ে যাবে কিনা- মিমের এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না তিনি। দুই মেয়ের মধ্যে বড় মিমের চিকিৎসায় তিনি সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য প্রার্থনা করেন। মিমের বাবা মাসুদ রানার বিকাশ নম্বর ০১৩৩৬-১২৮১৬৯ ।
মিমের মা সেলিনা সুলতানা জানান কোন রকমে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতে হয়। বিপরীতে সন্তানের চিকিৎসা খরচ যোগাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। ইতিমধ্যে মানুষের সাহায্য নিয়ে ডাক্তার দেখানোসহ দু’টি ইনজেকশন দিতে পারলেও কোনভাবে আর এগুতে পারছে না। দয়াশীল মানুষের সাহায্য নিয়ে সন্তানকে সুস্থ করে আবারও তার বিদ্যালয়ে পাঠাতে চান অহসায় ঐ গৃহবধু।
সহপাঠীরা যখন বই খাতা নিয়ে স্কুলে যেতে ব্যস্থ তখন সাত বছরের মিম ঘরবন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে শাররীক অসুস্থতায়। প্রতিবেশী আর পরিবারের সমবয়সীরা যখন খেলাধুলায় মত্ত্ব একই সময়ে ঐ শিশুকে শয্যায় শুয়ে কাটাতে হচ্ছে প্রতিটা ক্ষন।
এদিকে শাররীকভাবে কর্মক্ষমতা হারানো পিতার সামর্থ্য নেই কন্যার ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানোর। পৈত্রিকসুত্রে প্রাপ্ত বসবাসের দুই কাঠা জমি বিক্রি করতে হলে রাস্তা ছাড়া মাথা গোঁজারও ঠাই মিলবে না।
এমতাবস্থায় দিনে দিনে শাররীক পরিস্থিতি জটিল পর্যায়ে চলে যাচ্ছে প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী মিম সুলতানার। অসহায় আর অপলক দৃষ্টিতে পিতা-মাতার মত সে-ও তাকিয়ে আছে সহায়তার আশায়। স্বপ্ন দেখছে সমাজের বিত্তবান আর মহানুভবতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের সাহায্যে অন্য শিশুদের মত স্বাভাবিক জীবনে ফেরার।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী বলেন পরিবারটির আর্থিক অবস্থা বলতে কিছুই নেই। তাদের দেযা সাহায্য নিয়ে এতদিন ডাক্তার দেখানোসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছে। তবে ব্যয়বহুল চিকিৎসার জন্য তার অসহায় পিতা মাতা এখন মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।