বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
চিকুনগুনিয়া ভাইরাস ফের মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। মঙ্গলবার সংস্থাটি জানায়, ১১৯টিরও বেশি দেশে ভাইরাসটি ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এবং প্রাথমিক সংক্রমণের আলামত দেখা যাচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন অংশে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, মূলত ‘টাইগার মশা’ নামে পরিচিত এডিস প্রজাতির মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। দিনের বেলায় কামড়ানো এই মশা ডেঙ্গু ও জিকার ভাইরাসও বহন করে থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ১ মে থেকে শুধু ফ্রান্সেই ৮০০ জন বিদেশফেরত আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে আরও ১২টি স্থানীয় সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েছে, যেখানে আক্রান্তরা ভাইরাসপ্রবণ এলাকায় যাননি, বরং স্থানীয়ভাবে মশার কামড়ে সংক্রমিত হয়েছেন। একই ধরনের সংক্রমণ ইতালিতেও পাওয়া গেছে।
সংস্থার চিকিৎসা কর্মকর্তা ডায়ানা রোজাস আলভারেজ বলেন, “ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছি আমরা।” তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৪-২০০৫ সালে ভারত মহাসাগরের দ্বীপাঞ্চলে ভাইরাসটি প্রথম মারাত্মক রূপ নেয় এবং পরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এখন প্রায় ৫৬০ কোটি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। চিকুনগুনিয়া ভাইরাস জ্বরের পাশাপাশি তীব্র জয়েন্ট ব্যথা ও দীর্ঘমেয়াদি অক্ষমতা তৈরি করতে পারে, এবং এর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই।
এই পরিস্থিতিতে WHO প্রত্যেক দেশকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। প্রতিরোধে মশানিরোধক ব্যবহারে, নিরাপদ ও পূর্ণ হাতার জামা পরিধানে এবং মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে জোর দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা করছে, যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে বিশ্ববাসী আবারও এক নতুন মহামারির মুখোমুখি হতে পারে।