বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫-এ। ২০১৮ সালের তুলনায় এটি প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি। আজ ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে এই তথ্য জানিয়েছে বন বিভাগ। এ বছরের প্রতিপাদ্য, ‘মানুষ-বাঘের সুরেলা সহাবস্থান।’
বন বিভাগ বলছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, প্রকল্পভিত্তিক কার্যক্রম এবং বাঘ হত্যা প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতির ফলে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। সর্বশেষ জরিপে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট রেঞ্জের ৬৩৯টি গ্রিডে বসানো হয় ক্যামেরা ট্র্যাপ, যা থেকে পাওয়া চিত্র বিশ্লেষণে ১২৫টি বাঘ শনাক্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পর্যটকদের জন্যও সুখবর আছে। গত দেড় বছরে অন্তত তিন থেকে চারবার সরাসরি বাঘ দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে পর্যটকদের। কেউ কেউ বাঘের দৃশ্য বন্দি করেছেন ক্যামেরায়ও।
বাঘের অবস্থা একসময় সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছিল বনদস্যু, গুপ্ত শিকারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অভয়ারণ্যে অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের কারণে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বদলেছে নানা পদক্ষেপে। যেমন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ জানান, বাঘ-মানুষ দ্বন্দ্ব কমাতে ‘ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম’ গঠন করা হয়েছে। এছাড়া খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় ৭৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে ফেন্সিং স্থাপন কার্যক্রম। বাঘের সুপেয় পানি ও বাসস্থান নিশ্চিতের উদ্যোগও চলমান।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে শুধু রয়েল বেঙ্গল টাইগার নয়, সুন্দরবন ও দেশের সামগ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে।