বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বুধবার এ ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, এই স্বীকৃতি একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়ার অংশ, যার ভিত্তি হবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কার ও ২০২৬ সালের সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি।
তবে কার্নি স্পষ্ট করে বলেন, এই প্রক্রিয়ায় হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না এবং তারা ভবিষ্যতের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই শর্ত ফিলিস্তিনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে।
এছাড়াও তিনি বলেন, “দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান ধরে রাখার অর্থ হচ্ছে, আমরা তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি যারা সন্ত্রাস বা সহিংসতা নয়, বরং শান্তির পথ বেছে নিয়েছে।”
সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যাকে পশ্চিমা নীতির একটি উল্লেখযোগ্য মোড় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
তবে কানাডার এই অবস্থানের তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে ‘হামাসকে পুরস্কৃত করা’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর বক্তব্যকে অবজ্ঞা করে বলেন, “তিনি কী বললেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, এতে কিছুই পরিবর্তন হবে না।”
স্কটল্যান্ডে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প জানান, ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি।
ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের প্রতি জোরালো সমর্থন জানিয়ে এসেছে। তবে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।
২০২৩ সাল থেকে চলমান যুদ্ধে গাজায় ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়েছে অঞ্চলটি।