কয়রা প্রতিনিধি।
খুলনার কয়রা উপজেলার উপকূলীয় গ্রামগুলোতে বছরজুড়ে মিঠা পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়, নলকূপে ওঠে লবণাক্ত পানি। মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের শেখ সরদারপাড়া ও আশপাশের গ্রামে বাসিন্দারা বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করেই পানির চাহিদা মেটান। বর্ষায় নদীর লবণাক্ততা কিছুটা কমলেও শুষ্ক মৌসুমে তা মুখে দেওয়ারও উপযোগী থাকে না।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি না হলে দূরের পুকুর থেকে নৌকায় করে পানি আনতে হয়। সম্প্রতি রূপসা নদীর নৌকাবাইচে জয়ী হয়ে পাওয়া পুরস্কারে খনন করা একটি মিষ্টি পানির পুকুর এখন অনেকের বড় ভরসা।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ বলছে, বর্ষায় পানি ধরে রাখতে পুকুর খনন ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। ইতিমধ্যে ৫৫ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানির আওতায় এলেও অনেকেই এখনো সংকটে রয়েছেন।