সম্প্রতি বিভিন্ন ফরম্যাটে বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে পেসার এনরিখ নরকিয়া দেশটির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন। সর্বশেষ ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আন্তর্জাতিক ফরম্যাটটিতে খেলেছেন তিনি। ২৯ জুন ভারতের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর সেই ফাইনালে নেমেছিল প্রোটিয়ারা। এরপর এক বছর পেরিয়ে গেলেও তাকে আর এই ফরম্যাটে দেখা যায়নি।
সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তেই ছিল টেম্বা বাভুমার দল। কিন্তু ৭ রানের আক্ষেপে ‘চোকার্স’ তমকা কাটানো সম্ভব হয়নি তাদের। অবশ্য প্রোটিয়াদের হয়ে টুর্নামেন্টের সেরা বোলার ছিলেন নরকিয়া। এবার সেটারই পুরস্কার পেলেন ৩১ বছর বয়সী এই পেসার। বিশ্বমঞ্চে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। ৯ ম্যাচে তার ইকোনমি ছিল ৫ দশমিক ৭৪। নরকিয়ার সমান ১৫ উইকেট পেয়েছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। এছাড়া ১৭টি করে উইকেট নিয়েছিলেন ফজল-হক-ফারুকি ও আর্শদ্বীপ সিং।তবে বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়টা নরকিয়ার জন্য মোটেও সহজ ছিল না। পিঠের নিচের অংশে স্ট্রেস ফ্র্যাকচারে প্রায় এক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ছিটকে যান তিনি। এই কারণে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও খেলা হয়ে উঠেনি তার। সবশেষ ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরোয়া সিরিজের পর ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেও ছিটকে পড়েন এই পেসার।
সর্বশেষ স্ট্রেস রিঅ্যাকশন ইনজুরিতে পড়েছিলেন এই পেসার। যে কারণে গেল মাসে জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকেও বাদ পড়েন তিনি। ২০২৫ সালে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে কেবল আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেন তিনি। এদিকে গেল জুনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথমবারের মত ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাটটিতে চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। শিরোপাজয়ী অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা বর্ষসেরা টেস্ট খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৫–২৭ চক্রে ৫৯ দশমিক ২৫ গড়ে ৭১১ রান করেছিলেন প্রোটিয়া দলপতি। পাশাপাশি তার দুটি সেঞ্চুরি প্রোটিয়াদের ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রেখেছিল।
এছাড়া পুরুষ ক্রিকেটে স্পিন অলরাউন্ডার কেশভ মহারাজ দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে প্রোটিয়া শিবিরে রীতিমত রাজত্ব করেছেন তিনি। ২০২৩–২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে ২০ দশমিক ৯৫ গড়ে ৪১ উইকেট শিকার করেন তিনি। এর সঙ্গে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৬ দশমিক ২৫ ইকোনমিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১১ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।