নিজস্ব প্রতিনিধি।
সাতক্ষীরা – ৩ ও ৪ আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে শ্যামনগরে জামায়াতের সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শ্যামনগর উপজেলা শাখা। রোববার (৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় জামায়াতে ইসলামী শ্যামনগর উপজেলা শাখার নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন আনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের খসড়া অনুযায়ী, সাতক্ষীরার চারটি আসনের মধ্যে সাতক্ষীরা-৩ ও সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা পরিবর্তন করা হয়েছে।
পুনর্বিন্যাস করার আগে সাতক্ষীরা-৪ আসনটি শ্যামনগর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও কালীগঞ্জ উপজেলার একাংশের ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল। এবার পুনর্বিন্যাস করে শ্যামনগর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা-৪ আসন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
একইভাবে কালিগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলা নিয়ে সাতক্ষীরা-৩ আসনের প্রস্তাব করা হয়েছে। আসন পুনর্বিন্যাসের নামে শ্যামনগরবাসীর সঙ্গে চরম অবিচার করা হয়েছে। শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলাকে একত্রিত করে একটি আসনে পরিণত করায় উভয় উপজেলার মানুষের দুর্ভোগে ফেলার চক্রান্ত করা হয়েছে।
শ্যামনগর দেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ একটি জনপদ। একইভাবে আশাশুনিও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ একটি উপজেলা। দুটি উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান বা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা মোটেও সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। এই দুই উপজেলা বহু দ্বীপ অঞ্চল নিয়ে গঠিত। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জোর দাবি জানাই, পূর্বের মতো সাতক্ষীরা- ৩ ও ৪ আসন পুনর্বহাল করা হোক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার রেজাউল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারী সাইদি হাসান বুলবুল প্রমুখ।