দৌলতপুর(কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মা নদীর চরে মহিষের বাথানে বজ্রপাতে কৃষকের ১১টি মহিষ মারা গেছে। রোববার ভোরের দিকে প্রচন্ড বজ্রপাতে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণিসম্পদ অফিস ও স্থানীয়রা জানায়, বাংলাবাজার এলাকার নওয়াজুদ্দিনের ছেলে নবির আলীর ১০টি মহিষ এবং একই এলাকার এলাহি বক্সের একটি মহিষ বজ্রপাতে মারা যায়। তাঁরা একটি বাথানে মহিষগুলো পালন করছিলেন।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল মান্নান জানান, আমার ইউনিয়নের দুই কৃষকের মোট ১১টি মহিষ বজ্রপাতে মারা গেছে। এতে নবির আলীর সবে চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। তাঁর ১০টি মহিষ মারা যায়।
কৃষক এলাহি বক্স জানান, নবির আলী আমার ফুপাতো ভাই। তাঁর ১০টি মহিষ ও আমার একটি মহিষ মারা গেছে। আমাদের বাথানে প্রায় ৩০০ মহিষ আছে, যেগুলোর মালিক আমরা মোট ২২ জন। আমাদের দুজনের ১১টি মহিষের মৃত্যুতে কমপক্ষে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতগুলো মহিষ পুঁতে রাখা সম্ভব না হওয়ায় আমরা পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছি। তিনি ক্ষতি পোষাতে সরকারী সহায়তা কামনা করেছেন।
দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাহামুদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। দুই কৃষকের ১১টি মহিষ বজ্রপাতে মারা গেছে। এ মহিষগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী জানান, বজ্রপাতে কৃষকদের মহিষের মৃত্যু ঘটনাটি জানতে পেরেছি। যদি সরকারিভাবে কোনো সহায়তার সুযোগ আসে বা থাকে তা হলে তা ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য বিবেচনা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।