ভালুকা প্রতিনিধি।
ময়মনসিংহের ভালুকায় সৌদি আরব থেকে আনা বীজ দিয়ে খেজুর চাষে সাফল্য পেয়েছেন আবদুল মোতালেব। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সৌদি খেজুরবাগানে কাজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। প্রথমে ৭০ শতাংশ জমিতে ২৭৫টি চারা রোপণ করলেও বর্তমানে তাঁর ৭ বিঘা জমির বাগানে ৩ হাজারের বেশি গাছ রয়েছে।
আজোয়া, শুক্কারি, আম্বার, লিপজেল ও মরিয়মসহ নানা জাতের খেজুর এখান থেকে উৎপাদন হচ্ছে। এসব খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ৪,৫০০ টাকা, আর চারা বিক্রি হয় ৫০০ টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত। মোতালেবের দাবি, বছরে ৫০ লাখ টাকার বেশি আয় হয় তাঁর বাগান থেকে।
১৮ বছরের গবেষণায় তিনি মাতৃগাছ নির্বাচন করে কেবল ফলনশীল গাছ রেখেছেন। ছেলে মিজানুর রহমানের সঙ্গে মিলে আরও ৮ বিঘা জমিতে ৮,০০০ গাছের নতুন বাগান করেছেন, যার উদ্দেশ্য গুড় উৎপাদন। তাঁদের উদ্ভাবিত নতুন জাত প্রচুর রস দেয় বলে জানা গেছে।
মোতালেবের সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্থানীয় অনেকেই খেজুর চাষ শুরু করেছেন। আফাজ পাঠান নামে এক উদ্যোক্তা জানান, তিনি চারটি স্থানে ১০ একরের বাগান করে বছরে ২০–৩০ লাখ টাকা আয় করছেন।
ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মতে, খেজুরে রোগবালাই কম হলেও সরকারি প্রকল্প থাকলে চাষি আরও উৎসাহিত হবেন। গত বুধবার বাগানটি পরিদর্শনে গিয়ে বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ জানান, সৌদি খেজুর চাষের সম্প্রসারণ ও প্রণোদনা নিয়ে কেবিনেট মিটিংয়ে প্রস্তাব তোলা হবে।