নেত্রকোণা প্রতিনিধি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের আর্থিক সহযোগিতা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার ৪৫০ জনের চোখের অপারেশনের পর শুরু হয়েছে ফলোআপ কার্যক্রম।
ময়মনসিংহের ডা. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক দল দুর্গাপুরে এসে এই ফলোআপ সেবা প্রদান করেন। এই পর্যায়ে নির্ধারিত হয় অপারেশন কতটুকু সফল হয়েছে এবং কাদের পাওয়ারযুক্ত চশমা প্রয়োজন।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) এই চশমা বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ইতোমধ্যে ১ম থেকে ৪র্থ ধাপের রোগীদের ফলোআপ সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত মোট ১২৮ জন রোগীর জন্য পাওয়ারযুক্ত চশমা প্রয়োজন। এর ধারাবাহিকতায় আজ ১২৮ জন রোগীর মধ্যে ৯৯ জনের হাতে চশমা তুলে দেয়া হয়েছে। অনুপস্থিত ২৯ জন রোগীর চশমা শিগগিরই টিমের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এর আগে এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের গুজিরকোণা গ্রামে একটি ফ্রি মেডিকেল ও চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা ৯৩২ জন রোগীর ছানি অপারেশনের জন্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়। ইতোমধ্যে ৪৫০ জনের অপারেশন সম্পন্ন হয়। পর্যায়ক্রমে বাকি রোগীদের অপারেশন সম্পন্ন করা হবে।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা মানুষের চোখে আলো ফেরানোর মানবিক উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। এখন পর্যন্ত ৪৫০ জন চোখের আলো ফিরে পেয়েছে। এখন তারা নতুন করে আলো দেখবে, জীবনের সৌন্দর্য উপভোগ করবে। এখন তাদের প্রত্যেককে প্রয়োজনীয় চশমা ও পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখনও ৪৮১ জন রোগীর অপারেশন বাকি রয়েছে। ইনশাআল্লাহ ধাপে ধাপে সবার চোখের আলো ফেরাতে আমরা কাজ চালিয়ে যাব।
এই মানবিক কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও কর্তৃপক্ষকে এবং আমাদের দলীয় টিমকে। তাদের নিরলস পরিশ্রম ও আত্মত্যাগেই এই মহৎ কাজ সম্ভব হচ্ছে। মানুষের দোয়া আমাদের শক্তি। আমরা চাই মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব হোক, তাদের চোখে যেন আবারও আশার আলো জ্বলে ওঠে।