দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডাকাতির সময় শিশুর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গৃহবধুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হওয়ায় পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কায়ামারী এলাকায় ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ঘটনা ঘটলেও সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) থানায় ধর্ষণ ও লুটের পৃথক দুটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী ও তার শ্বশুর। এলাকাবাসী আরো জানায় ঘঁনাটি কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করার কারণে মামলা করতে দেরী হয়।
ভুক্তভোগী পরিবার ও থানায় দাএয়র করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতে লাবু (৩৫), তারিক (৪০) ও সুবেল (৩৫)-সহ ৭/৮ জন ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে প্রবেশ করে তার স্বাামী ও দেবরকে হাত ও পা বেঁধে ফেলে। তারা অস্ত্রের মুখে ত্রাস সৃষ্টি করে নগদ টাকাসহ দুই লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার লুট করে। এরপর তারা ভুক্তভোগী গৃহবধুকে ধর্ষণ করতে চাইলে বাধা দেন তিনি। পরে তার তিন বছরের শিশু সন্তানের গলায় অস্ত্র ধরে লাবু, সুবেল ও তারিক পালাক্রমে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। দুর্বৃত্তরা এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়। এর আগে ডাকাতদল পাশের জহুরুলের বাড়িতেও ডাকাতি করে।
সেখান থেকে ফেরার পথে ডাকাতরা ঐ গৃহবধুর বাড়িতে লুটপাট করে। সন্তানের গলায় অস্ত্র ধরে গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরিবারের লোকজন চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর ও পরে কুষ্টিয়া জেনাএরল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে ভুক্তভোগী গৃহবধুর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের এবং তার শ্বশুর বাদী হয়ে ডাকাতির মামলা করেছেন।
দৌলতপুর থানার ওসি মো. সোলাইমান শেখ জানান, মামলার পরপরই তিন আসামি লাবু, সুবেল ও তারিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এ ঘঁনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি
জানিয়েছেন।