1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
আর্থিক খাতের শৃঙ্খলায় দ্রুত নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন- ড. ফাহমিদা খাতুন - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মোংলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অতীতের রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন দিগন্তে বাধ্যতামূলক শরিয়াহ কমিটির সদস্যদের সম্মানী নির্ধারণ: মাসে ২৫ হাজার টাকা রাশিয়া থেকে এলো ৫২ হাজার ৫০০ টন গম নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত ওয়াই-ফাই সমস্যার দ্রুত সমাধান: রাউটার রিস্টার্টেই মিলবে ফল এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির পক্ষে বারাক ওবামা দুবাইয়ে রোমাঞ্চকর ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা ভারতের পাহাড়ে ধর্ষণের বিচারের দাবিতে গবিতে মশাল মিছিল কালীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই ভাইয়ের মৃত্যু, আহত দুই ক্ষমতায় গেলে তিন অগ্রাধিকার বাস্তবায়নের ঘোষণা দিল জামায়াত আমির

আর্থিক খাতের শৃঙ্খলায় দ্রুত নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন- ড. ফাহমিদা খাতুন

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৩ জন খবরটি পড়েছেন

আর্থিক খাতের শৃঙ্খলায় দ্রুত নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সদস্য ড. ফাহমিদা খাতুন।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলায় ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে ছায়া সংসদে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, অর্থনীতি ও রাজনীতি পাশাপাশি চলে, দুইটি একে অপরের পরিপূরক। দুর্বল শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থনীতি চলতে পারে না। আর সঠিক রাজনীতি ছাড়া সঠিক অর্থনীতিও হয়না।

স্বল্প মেয়াদী সরকার দীর্ঘায়িত হওয়া অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক নয়। এতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হয়। তাই আর্থিকখাতের শৃঙ্খলার জন্য দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার দরকার।

ঢালাওভাবে ব্যাবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ রাখা ঠিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোন বড় ধরণের বিচ্যুতি না থাকলে জব্দকৃত হিসাবগুলো খুলে দেয়া যায়। তা না হলে সার্বিক ব্যবসা—বাণিজ্য, দারিদ্র ও কর্মসংস্থানের ওপর বিরাট প্রভাব পড়বে। গত এক বছরে অর্থনীতির কিছু সূচকের পতন ঠেকানো গেলেও সংকট কাটেনি, দারিদ্র কমছে না।

ব্যাংকিং খাতে বিগত সরকারের সময় সুশাসন ছিল না। প্রতিটি সূচকেই খুব খারাপ অবস্থা ছিল। অর্থনীতির আকারের চেয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক বেশি ব্যাংক অনুমোদন দেয়া হয়েছিল, যা পৃথিবীর কোথাও নেই।‘

বিগত সময়ে নিজেদের সম্পদকে বাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যাংকগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছিল। অন্তর্বতী সরকার দুর্বল ব্যাংকসমুহকে একীভূত করার যে চেষ্টা চালাচ্ছে তার প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল এবং ঝঁকিপূর্ণ।

এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা রয়েছে’, যোগ করেন ফাহমিদা খাতুনসভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কিছু কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিকখাতের মাফিয়াদের অনৈতিক সুবিধা দিয়েছিল। তখন দেশে ছিল মাফিয়া ইকোনমির শাসন। চোখের সামনে ইসলামী ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ভালো ব্যাংক লুণ্ঠিত হয়েছে।

আর্থিকখাতের মাফিয়ারা এসব ব্যাংকের আমানতকারীদের টাকা কেবল আত্মসাতই করেনি, বিদেশেও পাচার করেছে। ফলে ব্যাংক গ্রাহকরা উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কে রয়েছে। কখন তারা তাদের আমানতের টাকা ফেরত পাবেন তা এখনো অনিশ্চিত। অনেক আমানতকারী ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা চিকিৎসার খরচ মেটানোর জন্যও তুলতে পারছে না। এর মধ্যে অনেকে আবার মৃত্যুবরণও করেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় দেয়া ব্যাংকগুলোর মালিকরা কেবল অর্থ আত্মসাতই করেনি, ব্যাংকের স্থাবর—অস্থাবরসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। বর্তমানে যে ৬-৭ লাখ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে তা আদায় করা যাচ্ছে না। আর্থিকখাতের মাফিয়ারা যেসব সম্পত্তি মর্টগেজ রেখে ঋণ নিয়েছিল, সম্পত্তিগুলো ঝামেলাপূর্ণ ও নিষ্কণ্টক না হওয়ায় নিলামে তুলে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার অনেক সময় এসব সম্পত্তি প্রভাবশালীদের হওয়ায় কেউ কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

“ব্যাংক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে” শীর্ষক ছায়া সংসদে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকার বিতার্কিকগণ বিজয়ী হয়।

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সিনিয়র সাংবাদিক মাঈনুল আলম, প্রফেশনাল একাউন্টেন্ট আবুল বশির খান, সাংবাদিক মো: আলমগীর হোসেন ও সাংবাদিক রেফায়েত উল্লাহ মীরধা। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews