আন্তর্জাতিক সূচির সময় বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা কোনো ক্রিকেটার এখন থেকে জাতীয় দলের খেলা চলাকালীন অন্য কোনো দেশের লিগে খেলতে পারবেন না।
পিসিবির এই সিদ্ধান্তের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) চুক্তিবদ্ধ হওয়া তারকা ক্রিকেটাররা। সিডনি সিক্সার্সের হয়ে বাবর আজম, ব্রিসবেন হিটের হয়ে শাহীন আফ্রিদি এবং মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান খেলার কথা ছিল। এছাড়া হারিস রউফ, শাদাব খান ও হাসান আলিসহ আরও অনেকেই বিবিএলের বিভিন্ন দলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এখন তাদের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শুধু বিবিএল নয়, এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়তে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘আইএলটি২০’ এবং বাংলাদেশের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ওপরও। আগামী ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য আইএলটি২০ নিলামের সংক্ষিপ্ত তালিকায় পাকিস্তানের ১৮ জন ক্রিকেটার আছেন। অন্যদিকে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য বিপিএলের ড্রাফট এখনও চূড়ান্ত না হলেও, পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ বরাবরই এই টুর্নামেন্টের অন্যতম আকর্ষণ। এবার সেটিও হুমকির মুখে পড়ল।
মঙ্গলবার পিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় দলের প্রতি খেলোয়াড়দের পূর্ণ মনোযোগ, বিশ্রাম এবং ফিটনেস নিশ্চিত করতেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বোর্ডের লক্ষ্য আসন্ন বিশ্বকাপ ও গুরুত্বপূর্ণ সিরিজগুলোকে ঘিরে খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি নিশ্চিত করা।
যদিও পিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, এনওসি (অনাপত্তিপত্র) প্রদান এখন থেকে পারফরম্যান্সভিত্তিক কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে। তবে এই মূল্যায়নের মানদণ্ড এখনো স্পষ্ট নয়। মূলত জাতীয় ও ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।