বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের শাসনামলে গুম-খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হেফাজতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তার জামিন আবেদন করা হয়েছে। বুধবার (২১ অক্টোবর) সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজনভ্যানে করে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
ট্রাইব্যুনালে হাজিরার পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনসহ মোট তিনটি আবেদন দাখিল করেন। সকাল থেকেই রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন ও পল্টন এলাকাজুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা। ট্রাইব্যুনাল ও হাইকোর্ট মাজারগেট এলাকায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত গুম, খুন ও নির্যাতনের অভিযোগে তিনটি পৃথক মামলায় মোট ৩২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫ জন সেনা কর্মকর্তা। ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্যানেল মামলাগুলোর শুনানি শুরু করেন।
প্রথম মামলায় ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন পলাতক রয়েছেন। দ্বিতীয় মামলায় ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন পরিচালকসহ ১৩ জন আসামি এবং তৃতীয় মামলাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় দায়ের করা হয়।
হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের শুনানি চলমান রয়েছে।