মহেশপুর প্রতিনিধি।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ব্যবহারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি বিদ্যুৎ বিল পেয়ে হতবাক গ্রাহকরা।
অঞ্চলের আজমপুর, রামচন্দ্রপুর, বলিভদ্রপুর, কাশিপুর, যাদবপুর ও দত্তনগরসহ একাধিক এলাকায় এমন অভিযোগ উঠেছে।
আজমপুর গ্রামের দিনমজুর খোকন বিশ্বাস জানান, তার টিনের ঘরে দুটি ফ্যান, দুটি বাল্ব ও একটি ফ্রিজ ব্যবহৃত হয়। তবু চলতি মাসে তার হাতে এসেছে ৩৩ হাজার ৪৫০ টাকার বিল।
“আমাদের ব্যবহার তো আগের মতোই, তবু বিল এলো লাখপতির মতো। এখন কীভাবে দেব এত টাকা?”—বলেন হতাশ খোকন।
একই অভিযোগ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন। তার দোকানে কেবল একটি ফ্যান ও দুটি লাইট ব্যবহৃত হয়, সাধারণত বিল আসে এক হাজার টাকার মতো, কিন্তু এবার এসেছে ৮ হাজার ৫০০ টাকা।
“অফিসে গেলে বলে তদন্ত চলছে, কিন্তু ততদিনে লাইন কেটে দেয়,”—বলেন তিনি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, অনেক ক্ষেত্রেই মিটার রিডিং না নিয়ে গড় হিসাবের ভিত্তিতে বিল তৈরি করা হয়েছে, যার ফলে বিল অস্বাভাবিক বেড়েছে।
কেউ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, কেউ সরাসরি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলেও কার্যকর সমাধান মিলছে না বলে অভিযোগ তাদের।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহেশপুর জোনাল অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী অভিজিৎ সাহা বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। কিছু গ্রাহকের বিল অস্বাভাবিক বেশি এসেছে—তদন্ত চলছে। যদি মিটারে ত্রুটি বা রিডিংয়ে ভুল পাওয়া যায়, তা সংশোধন করা হবে। অনিয়মে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, মহেশপুরের গ্রামাঞ্চলে এখন আলোচনার মূল বিষয় ‘বিদ্যুৎ বিল’। ভুক্তভোগীরা বলছেন, অতি দ্রুত সঠিক বিল পুনর্নির্ধারণ না হলে তারা চরম বিপাকে পড়বেন।