মামুন রণবীর,নেত্রকোণা।
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিশু সুমাইয়ার চোখে ইনফেকশন হয়ে অরবিটাল সেলুলাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়। ধীরে ধীরে সেটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। ফলে তার বাম চোখের আলো ক্রমশ নিভে যেতে শুরু করে। দুর্বিষহ হয়ে ওঠে তার জীবন। শিশু সুমাইয়াকে নিয়ে তার মা বাবা পড়েন মহা দুর্বিপাকে।
শিশু সুমাইয়ার এই দুর্বিষহ জীবনের কথা জেনে মানবতার হাত বাড়ালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তার সার্বিক সহযোগিতায় চোখের চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে শিশুটির। রবিবার (২৬ অক্টোবর) ময়মনসিংহের হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছে সুমাইয়া। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর শিশুটির চোখে অপারেশন করা হয়।
অপারেশন সম্পন্ন হওয়ায় সুমাইয়া এখন আগের মতোই চোখে দেখতে পাচ্ছে৷ ধীরে ধীরে তার চোখ পুরোপুরি ঠিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সুমাইয়া জানায়, আগে চোখে সারাক্ষণ ব্যথা করতো। এখন আর কোন ব্যথা নাই।
সুমাইয়ার পিতা সুলতান মিয়া পেশায় রিক্সাচালক। তার পক্ষে মেয়ের উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব ছিলোনা। কায়সার কামালের সহযোগিতায় সুমাইয়ার চিকিৎসা সম্পন্ন হওয়ায় তার সমস্ত দুশ্চিন্তা দূর হলো। তিনি বলেন, মেয়েকে নিয়ে অকুল পাথারে পড়ে গিয়েছিলাম। সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় অস্থির থাকতাম। তবে এখন আমি পুরোপুরি চিন্তামুক্ত। ব্যারিস্টার স্যার নিজে আমার মেয়ের অপারেশনের খরচ,থাকা খাওয়া,যাতায়াত সহ সকল খরচ বহন করেছেন। আমরা তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। তিনি উদ্যোগ না নিলে মেয়েটার চিকিৎসা করা সম্ভব হতো না।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, শিশু সুমাইয়া আক্তারের চোখের অপারেশন সাফল্যের সাথে শেষ করার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে। সকলের কাছে দোয়া চাই, যেন সুমাইয়া তার দুই চোখের আলো দিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারে। আমাদের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।