প্রায় এক বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছেন বাবর আজম। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের হয়ে এই ফরম্যাটে খেলেছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাওয়ালপিন্ডিতে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচেও প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই নামছেন ৩১ বছর বয়সী এই তারকা ক্রিকেটার। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
অবশ্য, বাবরের সামনে বিশ্বরেকর্ড গড়েই নিজের প্রত্যাবর্তন রাঙানোর সুযোগ। মাত্র ৯ রান করলেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক হবেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। বর্তমানে শীর্ষে থাকা ভারতের রোহিত শর্মার সংগ্রহ ১৫১ ইনিংসে ৪ হাজার ২৩১ রান। অন্যদিকে ৩০ ম্যাচ কম খেলা বাবরের রান ৪ হাজার ২২৩ রান। রোহিত ইতোমধ্যেই অবসর নেওয়ায় বাবরের সামনে সহজ সুযোগ।
তবে রোহিতের চেয়ে বাবরের গড় বেশ ভালো। ৩২ দশমিক ০৫ গড়ে ব্যাট করেছেন ভারতীয় ওপেনার, অন্যদিকে ৩৯ দশমিক ৮৩ অর্থাৎ প্রায় ৪০ ছুঁই ছুঁই গড় বাবরের। কিন্তু স্ট্রাইক রেটে বেশ এগিয়ে রোহিত, তার ১৪০ দশমিক ৮৯ এবং বাবরের ১২৯ দশমিক ২২। বাবরের তিন সেঞ্চুরির বিপরীতে ৫ বার এই ফরম্যাটে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছেন রোহিত। তবে রোহিতের ৩২ ফিফটির বিপরীতে ৩৬টি হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন বাবর।
তৃতীয়স্থানে থাকা বিরাট কোহলিও এই ফরম্যাটকে বিদায় বলেছেন। ১১৭ ইনিংসে কোহলির রান ৪ হাজার ১৮৮। যদিও শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে কোহলির গড়ই সবচেয়ে বেশি—৪৮ দশমিক ৬৯। স্ট্রাইক রেট ১৩৭ দশমিক ০৪।
আজ বাবর বিশ্বরেকর্ড ছুঁয়ে ফেললে, তা অনেকদিন স্থায়ী হতে পারে। কারণ, শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের বাকি দুইজন এখনও ৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেননি। ১৪৮ দশমিক ৯৭ স্ট্রাইক রেটে ৩ হাজার ৮৬৯ রান নিয়ে এ তালিকার চারে বাটলার। পঞ্চম আয়ারল্যান্ডের ওপেনার পল স্টার্লিংয়ের রান ৩ হাজার ৭১০। তারা সবাই একবার করে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন।