বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
দেশের ভূমিকম্প ঝুঁকির মানচিত্রে পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে তুলনামূলক নিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সাম্প্রতিক ভূতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ। আবহাওয়া অধিদফতরের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী বাংলাদেশকে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে—উচ্চ ঝুঁকির জোন-১, মাঝারি ঝুঁকির জোন-২ এবং নিম্ন ঝুঁকির জোন-৩।
জোন-৩ এর অন্তর্ভুক্ত খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৫টি জেলা এবং রাজশাহী বিভাগের পশ্চিমাংশকে ভূমিকম্পের সম্ভাব্য ঝুঁকির দিক থেকে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ধরা হয়। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যায়, এই এলাকাগুলো প্রধান টেকটোনিক প্লেট বাউন্ডারি—ডাউকি ফল্ট, মধুপুর ফল্ট কিংবা মিয়ানমার ফল্ট লাইনের বাইরে অবস্থান করায় এ অঞ্চলে বড় ধরনের কম্পনের ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত কম।
অন্যদিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা উচ্চ ঝুঁকির জোন-১-এর মধ্যে পড়ে। এর মধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলার কিছু অংশকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ঢাকা, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও বগুড়াসহ রাজশাহীর অধিকাংশ অংশ জোন-২ এ রয়েছে।
বাংলাদেশের চারপাশে প্লেট বাউন্ডারি-১, ২, ৩–এর পাশাপাশি হালুয়াঘাটের ডাউকি ফল্ট এবং মধুপুর ফল্টসহ মোট পাঁচটি ভূমিকম্প উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত আছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, নিম্ন ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাগুলোও দুর্বল নির্মাণশৈলী বা নিম্নমানের অবকাঠামোর কারণে কম মাত্রার কম্পনেও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।