মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ ,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
বাগেরহাটের রামপালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ফিরোজ ঢালী(৪৫) নামে আওয়ামীলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
আহতরা হলেন- কাদিরখোলা এলাকার আওরঙ্গজেব (৪২), হানিফ (৩৮) আকরাম ঢালী (৪৭)।
নিহত ও আহতরা সবাই রামপাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রামপাল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামিল হাসান জামুর অনুসারী।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রামপাল উপজেলার কাদিরখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফিরোজ ঢালী রামপাল উপজেলার কাস্টোবাড়িয়া এলাকার মৃত আশ্বাদ আলীর ছেলে। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রামপাল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামিল হাসান জামু বলেন, শুক্রবার সকাল আমাকে বাড়ির গেটে নামিয়ে দিয়ে ফিরোজ ঢালীসহ চারজন দুটি মোটরসাইকেলযোগে কাদিরখোলা এলাকায় বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। কিছুদূর যাওয়ার পরে বেলাল ব্যাপারী, বেলালের ভাই বাকি ডাকাতসহ ৩০ থেকে ৪০ জন ফিরোজদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে হামলাকারীরা তাদের রাস্তার ওপর ফেলে দিয়ে চলে যান।
আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রামপাল ঝনঝনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ফিরোজ ও হানিফকে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে ফিরোজ ঢালী মারা যান। অপর আহতদের মধ্যে হানিফকে হাত ও পা ভাঙা অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা রামাপালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হামলায় অভিযুক্ত বেলাল ব্যাপারী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার অপরাধে জামুর লোকেরা আমাদের ওপর হামলা করেছে। সেই জেরে আমার লোকেরা ফিরোজের ওপর হামলা করে। তবে কেউ মারা গেছে কিনা আমি জানি না।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দিন জানান, স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬জনকে আটক করেছি। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।