মাঠে ক্ষেতের পর ক্ষেত জুড়ে সবুজ পাতার মধ্যে লকলক করা শিমের শীষে বেগুনি ও সাদাটে ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে শিমের মাঁচা। এবার প্রথম দিকেই শিমের ভালো ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষক।শিম চাষে চাষিদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসি। শীতকালিন ফসলের মধ্যে অন্যতম প্রধান সবজি শিম ।
জানাগেছে, শিমের আবাদ করতে কৃষকরা প্রতি বছর নিজেরা শিম বীজ সংরক্ষণ করে রাখেন। শিম চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা প্রতি বছরই চাষ করে থাকেন। বর্তমানে শীতকালীন শিম বাজারে ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মন শিম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮ শ’থেকে ১৫শ টাকা দরে। প্রথমে ফলন একটু কম হলেও, পরবর্তীতে ফলন বেশি হয়। যখন ফলন বেশি হয় তখন আর আগের মতো দামও পাওয়া যায় না।
উপজেলার খানপুর গ্রামের শিম চাষি সুবোল ভদ্র বলেন, তিনি ২২ কাঠা জমিতে শিম চাষ করেছেন।প্রতি সপ্তাহে ১০ থেকে ১২ মন শিম তুলে স্থানীয় পুলেরহাট বাজারে প্রথমে ১৫ শ’ টাকা মন দরে পাইকারি বিক্রি করেছেন। এখন বিক্রি করছে ৮ শ’ থেকে ১ হাজার টাকা মন দরে। বাজারে শিমের পরিমাণ সরবরাহ কম হওয়ায় দামও তুলনামূলক বেশি।
উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, ৫কাঠা জমিতে এবার শিমের আবাদ করেছেন। গাছে ভাল শিম ধরেছে এবং বাজারে দামও ভাল।
ধুপখালি গ্রামের শিম চাষি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার তিনি ৯ কাঠা জমিতে শিমের আবাদ করেছেন।
নারিকেল বাড়িয়া উপসহকারি কৃশি কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান,কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় চাষিরা শিম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহোল আমীন জানান, আবহাওয়া বিপর্যয়ে এবার শিম চাষ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও যে সকল চাষিদের শিমের চাষ রয়েছে তারা বর্তমানে ভালো দাম পাচ্ছেন। তাছাড়া বাঘারপাড়া উপজেলায় চাষিরা পর্যাপ্ত পরিমানে শিম চাষ করে থাকেন।