যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের কক্ষ থেকে জহুরুল ইসলাম (১৬) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
জহুরুল পাবনার আতাইখোলা উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের জিলান মণ্ডলের ছেলে। গত বছরের ৩০ নভেম্বর পাবনার আদালতের মাধ্যমে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে সে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আসে।
এ বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক অসীত সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ উপলক্ষে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের আয়োজন করে শিশুরা। ওই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ছিল আজ। খেলা উপভোগ করতে সব শিশুই মাঠেই ছিল। এর মধ্যে কোনো একসময় জহুরুল নামের এক কিশোর নিজের কক্ষে গিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি জানান, সে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে আদালতের মাধ্যমে এই কেন্দ্রে আসে। ওই কিশোরের স্বজনদের কাছে আত্মহত্যার খবর পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই কিশোর আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলার প্রস্তুতি চলছে।