মহেশপুর প্রতিনিধি।।
মহেশপুরে প্লাস্টিকের ব্যাগে অভিনব কায়দায় ৯৯টি সোনার বার পাচারের সময় এক পাচারকারিকে আটক করেছে বিজিবি।
শুক্রবার(১ এপ্রিল) সকালে মহেশপুরের জুলুলী গ্রামের করিমপুর মোড় থেকে ওই সোনাসহ পাচারকারিকে আটক করা হয়। এদিন পাচারকারি মটরসাইকেল যোগে বিজিবির তল্লাসী চৌকি পার হওয়ার চেষ্টা করার সময় সন্দেহজনকভাবে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে তল্লাসী করে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে অভিনব কায়দায় রাখা ৯৯টি সোনার বার উদ্ধার হয়।
আটক ইব্রাহীম খলিল(৩২) মহেশপুর উপজেলার জাগুসা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। সে দর্জির কাজ করে।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক শাহীন আজাদ, শুক্রবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, মহেশপুর সীমান্তের মাটিলা বিওপির টহল দল জুলুলী গ্রামের বটতলা এলাকায় চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সময় ইব্রাহিম খলিল নামে ওই যুবকের গতি গতিরোধ করে। এ সময় তিনি পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি তাকে আটক করে । পরে তার প্লাস্টিকের ব্যাগ তল্লাশী করে টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১২ কেজি ৫৩০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বার উদ্ধার করে, যার আনুমানিক মুল্য ৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে বহনকারী ইব্রাহীম খলিল জানান, এই সোনার বার তার দুলাভাই মহেশপুরের লেবুতলা গ্রামের গোলাম মোস্তফার বাসায় পৌছে দিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। চোরাকারবারী মোস্তফার দুই স্ত্রী। বহনকারী ইব্রাহীম খলিল মোস্তফার ছোট স্ত্রীর ভাই। শুক্রবার সকালে মহেশপুরের ভাড়া বাসা থেকে সোনার বারগুলো লেবুতলা গ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইব্রাহীমের কাছে দেয়। জাগুসা গ্রামের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লেবুতলা গ্রামের গোলাম মোস্তফা একজন চিহ্নিত চোরাকারবারী।