1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
শ্যামনগরে মুন্ডা সম্প্রদায়ের উপর মিথ্যা মামলা ও হয়রানির অভিযোগে প্রতিবাদ সমাবেশ - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

শ্যামনগরে মুন্ডা সম্প্রদায়ের উপর মিথ্যা মামলা ও হয়রানির অভিযোগে প্রতিবাদ সমাবেশ

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২
  • ১৫৪ জন খবরটি পড়েছেন

অনাথ মণ্ডল , শ্যামনগর।

শ্যামনগর উপজেলার কৈখালীতে ইয়াছিন ও মাছুম কর্তৃক আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের উপর মিথ্যা মামলা ও হয়রানির অভিযোগে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেনমুন্ডা সম্প্রদায় ৷

প্রতিবাদ সমাবেশ মুন্ডা সম্প্রদায়ের ধনুঞ্জয়, সঞ্জিত, বিশ্বজিৎ, কর্ন বলেন, গত ২০১৯ সালের প্রথমে কিরোন মুন্ডার ছেলে ধনুঞ্জয়, সখি চরন মন্ডার ছেলে সঞ্জিত মুন্ডা, ওমো চরণ মুন্ডার ছেলে কর্ণ মুন্ডা, রতিন মুন্ডার ছেলে বিশ্বজিৎ মুন্ডা সহ ১৮ জনকে গোপালগঞ্জের মনজু মোল্লার ইট ভাটায় নিয়ে যায় সরদার আমিন উদ্দিন গাজীর ছেলে ইয়াছিন ও মাছুম ৷ এই ১৮ জনের মধ্যে আলাদা আলাদা ব্যক্তির কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্প নিয়ে কেউ টাকা নেয় আবার কেউ নেয় না এভাবে তাদেরকে ইট ভাটায় নিয়ে যায় ৷ খাওয়া দাওয়া,অত্যাচার সহ টাকা লেনদেনের সমস্যার কারনে আলাদা আলাদা ভাবে ১৮ জনই সবাই ফিরে আসে ৷

এই নিয়ে ১৯ সালের শেষে ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন থানায় আব্দুল্ল্যাহ নামের একজন ব্যক্তি এদের কাগজপত্র নিয়ে একটি মামলা দ্বায়ের করেন ৷ যার মামলা নং ৪৮/২০ ৷ ধনুঞ্জয়রা মামলার ভয়ে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে মৃত এছার উদ্দিন গাজীর ছেলে ফারুক গাজীর মাধ্যমে কর্ন মুন্ডার মিমাংসা করেন, মির আলী গাজীর ছেলে আঃ মজিদের মাধ্যমে ধনঞ্জয়ের মিমাংসা করেন, ফকির আহমেদের ছেলে আঃ সাত্তারের মাধ্যমে বিশ্বজিৎ, মিজান, রতিন মুন্ডা, মেকাইলের মিমাংসা করেন ৷

এছাড়া আজম মোল্লার ছেলে ফজলু মোল্লার মাধ্যমে হোসেন আলীর মিমাংসা করেন, সোনার মোড় ইট ভাটা সমিতির সভাপতি শাহিনের মাধ্যমে সঞ্চিত মুন্ডার মিমাংসা করেন, রুহুল আমিন ডাক্তার ও আব্দুর রশিদ গাজীর মাধ্যমে মৃত অফেসজ উদ্দিন গাজীর ছেলে কাওছার গাজীর মিমাংসা করেন ৷ এভাবে আলাদা আলাদা ভাবে সবার মিমাংসা হয় গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে ৷ সবাই মিমাংসার ক্ষেত্রে মামলা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দেন ৷ পাশাপাশি সকলের বাড়ি হওয়ায় সরল বিশ্বাসে এই মুন্ডা সম্প্রদয় মামলা না তুলে মিমাংসা করে নেন ৷

এদিকে ,গত ৮ আগস্ট ২০২২ তারিখ সোমবার পাশাপাশি বাড়ি হওয়ার কারনে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ঠেলাঠেলি হয়। এনিয়ে সঞ্জিত কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের কাছে একটি লিখিত সালিশের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান গত ১৩ আগষ্ট ২০২২ তারিখে বসাবসির জন্য উভয় পক্ষকে জানালে ইয়াছিন ও মাসুম হাজির হয় না ৷ পরে ইউনিয়ন পরিষদের মিমাংসাকে অবজ্ঞা করে পূনরায় গত ১৪ আগষ্ট ২০২২ তারিখে মাছুমের স্ত্রীর গহনা ও শীলতাহানির অভিযোগ তুলে শ্যামনগর থানায় একটি অভিযোগ দ্বায়ের করেন ৷ যার প্রেক্ষিতে শ্যামনগর থানার এএসআই তরিকুল ঘটনার তদন্ত করেন ৷

এএসআই তরিকুল বলেন, আসলে মুন্ডা সম্প্রদয়ের ঘটনা সঠিক ৷ কিন্তু বাদীপক্ষের অভিযোগটার বিষয়ে জানলাম ঐদিন মারামারির ঘটনা ঘটেছে ৷ চেয়াম্যানকে অবগত করবো যাতে তাদের বিষয়টি মিমাংসা করে দেন ৷

কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম ঘটনার সততা নিশ্চিত করেন ৷

সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা বলেন, ঘটনাটি জানি, ঘটনার মিমাংসা হওয়ার পরও তারা মামলাটি তুলে নেয়নি ৷ পরে দীর্ঘমেয়াদী হওয়ায় বিষয়টি আমি খোঁজ নিতে পারেনি বা তারাও আমার স্বরনাপন্ন হয়নি ৷

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews