1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
অভয়নগরে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে আবারও কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি ; হুমকির মুখে পরিবেশ - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ফ্রান্সজুড়ে অর্থনৈতিক কড়াকড়ির বিরুদ্ধে লাখ মানুষের বিক্ষোভ করাচিতে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া-চিকিৎসা-উৎসবভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব জুমার নামাজের নিয়ত,রাকাত সংখ্যা ও শর্তাবলি শ্যামনগরে সেনা অভিযানে ভারতীয় ঔষধসহ ৩জন আটক মায়ের মৃত্যুর পর মানসিক ভারসাম্য হারানো লিটনের ১৪ বছরের শিকল জীবন চাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ ঘোষণা হাসপাতালে ছাড়পত্র পেলেও পুরোপুরি সুস্থ নন নুরুল হক নুর মাদক,বাল্যবিবাহ ও কিশোর অপরাধের বিরুদ্ধে কলমাকান্দায় শিক্ষার্থীদের শপথ মোহনগঞ্জে হাওর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

অভয়নগরে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে আবারও কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি ; হুমকির মুখে পরিবেশ

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৩৩ জন খবরটি পড়েছেন
ছবি-বিডিটেলিগ্রাফ

অভয়নগর (যশোর) অফিস।।


অভয়নগরে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে আবারও কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানানোর অভিযোগ উঠেছে। ফলে ওই এলাকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এই কাজটি করে যাচ্ছেন স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি।

জানা গেছে, উপজেলার সিদ্দিপাশা এলাকায় প্রতিনিয়ত কাঠ পুড়িয়ে কয়লার ব্যবসা করছে ওই মহল। তারা ট্রলিতে করে কাঠ নিয়ে শতাধিক মাটির কাঁচা চুল্লি তৈরি করে কয়লা বানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাছপালা কেটে ছোট ছোট কাটের টুকরা বানিয়ে চুল্লির মধ্যে দিয়ে জ্বালানো হচ্ছে। এক পাশ দিয়ে ছোট কয়লা বের করা হচ্ছে। অন্য পাশে সেই কয়লা শুকানো হচ্ছে। বাকি জায়গায় বস্তায় ভর্তি করে রাখা হয়েছে। চুল্লির মধ্যে সারিবদ্ধভাবে কাঠ সাজিয়ে চুল্লির খোলা মুখ দিয়ে আগুন দেওয়া হয়। প্রায় ৭ থেকে ১০ দিন পোঁড়ানোর পর চুলা থেকে কয়লা বের করা হয়। প্রতিটি চুল্লিতে প্রতিবার ২৫০ থেকে ৩০০ মণ কাঠ পোঁড়ানো হয়। কাঠ পুঁড়ে কয়লা হয়ে গেলে সেগুলো বের করে ঠান্ডা করে বিক্রির উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সচেতন মহল বলছেন, এ এলাকায় অনেক গাছপালা ছিল। বর্তমানে গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

পুড়িয়ে কয়লা তৈরি্র জন্য স্তূপ করা কাঠ

এই কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানানোর কারণে আমাদের শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ রোগ দেখা দিয়েছে। সরকারি নিয়মনীতিকে থোড়াই কেয়ার করে এসকল প্রভাবশালী ব্যক্তি কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে আসছেন।

একটি সূত্র জানায়, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চারবার অভিযান চালিয়ে চুল্লিগুলো গুড়িয়ে দিলেও বন্ধ হয়নি এ অবৈধ কয়লা তৈরীর ব্যবসা। প্রতিবারই আরও নতুন নতুন চুল্লি তৈরি হয়েছে। ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, উজাড় হচ্ছে গাছপালা অপর দিকে স্থানীয়রা শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ রোগে ভুগছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যক্তি জানান, এদের বিরুদ্ধে স্থানীয় কেউ প্রতিবাদ করলেই তাদের ওপর নানা ধরণের হুমকি-ধামকি নেমে আসে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই সাথে এই এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও পোহাতে হচ্ছে নানা বিড়ম্বণা। এর আগে অনেকবার এলাকাবাসীরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।

স্থানীয়দের দাবি, কতিপয় ব্যক্তি জোটবদ্ধ হয়ে অবৈধভাবে মাটির চুল্লি বানিয়ে কাঠ ও শিসা পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে আসছে। এমনকি সরকারি দাতব্য চিকিৎসালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকাতেও তারা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কয়লা তৈরির চুল্লি নির্মাণ করেছে। উপজেলার সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে অবাধে চুল্লিতে এ কয়লা তৈরি হওয়ায় নির্গত ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের জিয়া মোল্যা, ছোট্ট মোল্যা, শহিদ মোল্যা, হারুন মোল্যা, রফিক মোল্যা, তৌকির মোল্যা, কবীর শেখ, হাবিব হাওলাদার, তসলিম মিয়া, মনির শেখ, কামরুল ফারাজী এবং ধূলগ্রামের হরমুজ সর্দার, রকশেদ সর্দার, ফারুক হাওলাদার এ অঞ্চলে প্রায় ১০০টি চুল্লি তৈরি করে কয়লা বানিয়ে আসছেন। কিন্তু তারা এতটাই দূর্র্ধর্ষ যে স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদতো দূরের কথা মুখ খুলতেও সাহস করেননা। মাটি, ইট ও কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে তৈরি করা চুল্লিতে প্রতিদিন কয়েক’শ মণ কাঠ পোঁড়ানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে কয়েকজন চুল্লি মালিকের সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঘাটে ঘাটে টাকা দিয়ে আমাদের ব্যবসা চালাতে হয়। স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে সব মহলকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেই তারপর ব্যবসা চালাই।

এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মেজবাহ উদ্দীন বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে অতি দ্রুত অভিযান চালানো হবে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews