প্রথমে মেয়েকে সুইসাইড নোট লিখতে বলেন বাবা। এরপর তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অভিনয় করতে বলেন তিনি। বাবার কথামতো সুইসাইড নোট লেখে ১৬ বছর বয়সী কিশোরী। পরে ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টুলের ওপর দাঁড়ায় সে।
তাৎক্ষণিক লাথি মেরে টুল সরিয়ে দেন বাবা। এতে ছটফট করতে করতে মারা যায় ষোড়শী। সেখানে তার ১২ বছর বয়সী বোন এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান বাবা। পরে পুলিশকে ফোন করে জানান, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপর ঘটনাস্থলে এসে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার তদন্ত শুরু করলে কিশোরীর বাবাকে সন্দেহ হয় পুলিশের। ফলে তাকে তলব করে তারা। উনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অসঙ্গতি দেখেন তদন্তকারীরা।
ফলশ্রুতিতে কিশোরীর বাবার মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ। এক কর্মকর্তা জানান, ফোন ঘেঁটে দেখা যায়, মেয়েকে সুইসাইড নোট লিখতে বলছেন বাবা। সেই নোটে আত্মহত্যার জন্য কয়েকজন আত্মীয়কে দায়ী করছেন তিনি। সেই সঙ্গে মেয়েকে ফাঁস লাগিয়ে অভিনয় করতেও বলছেন।
কিশোরী ওড়না পেঁচিয়ে টুলের ওপর দাঁড়ানোর পর ছবি তোলেন তার বাবা। সেটিও ফোনে পাওয়া গেছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পরে খুনের কথা স্বীকার করেন বাবা। আত্মীয়দের ফাঁসাতেই মেয়েকে দিয়ে সুইসাইড নোটে তাদের নাম লেখান তিনি। এরপরই তাকে খুন করেন।
এই ঘটনায় কিশোরীর বাবা, তার সৎ মা, চাচা, চাচিকে আটক করেছে পুলিশ। গত ৬ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের নাগপুরের কালামনা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। চ্যানেল ২৪