তরিকুল ইসলাম,ঝিকরগাছা (যশোর)॥
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের জগদানন্দকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদা খাতুনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকালে গাছ কর্তনের পর উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ারপূর্ব মুহুর্তে স্থানীয় এলাকাবাসির তোপের মূখে একই গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম কর্তনকৃত গাছ নিয়ে যেতে পারেননি।
জানাগেছে, এলাকাবাসির অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্র্রধান শিক্ষক হামিদা খাতুন শিক্ষা অধিদপ্তরের কোন অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ের ২টি মেহগনি গাছ জগদানন্দকাটি গ্রামের কাঠব্যাপারি সিরাজুল ইসলামের কাছে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। বুধবার সকালে কয়েকজন কাঠুরিয়া এসে বিক্রিত গাছ কর্তন শুরু করে। এসময় এলাকাবাসী টেরপেয়ে গাছ কর্তনে বাধা প্রদান করে। এসময় এলাকাবাসীর তোপের মূখে পড়ে ওই প্রধান শিক্ষক। ফলে গাছ কর্তন বন্ধ করে দেয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি ছাড়াই গাছ কর্তনের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিষয়টি জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদা খাতুন গাছ বিক্রির ব্যাপারে যা কিছু করার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব করেছেন। এ ব্যাপারে তার কিছুই জানানেই।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আরশাদ আলী বলেন, গাছ বিক্রির ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেননা। তবে গাছ কাটার সময় স্থানীয়রা ঝামেলা করলে প্রধান শিক্ষক তার কাছে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন। তখন গাছ কর্তনের লিখিত অনুমতি না থাকলে কাটা বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান গোবিন্দ্য চ্যাটার্জী বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মৌখিক অনুমতিতে মাঠে পড়ে থাকা গাছগুলি অপসারন করা হচ্ছিল। বিক্রি করা হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে কাঠ ব্যাপারী সিরাজুল ইসলাম বলেন, গাছগুলি তিনি প্রথমে ক্রয় করেছিলেন। কিন্তু কাটারপর একটু ঝামেলা হওয়ায় বিক্রির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে গাছগুলি কেটে ইউনিয়ন পরিষদে রেখে দিতে বলেছেন ইউপি চেয়ারম্যান গোবিন্দ্য চ্যাটার্জী বলে তিনি জানিয়েছেন।