স্টাফ রিপোর্টার।
অভয়নগর উপজেলার পাথালিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার এএনএমএম মুনিরুজ্জামান ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাকির হোসেন তরফদারের বিরুদ্ধে সরকারি বই বিক্রি ও মাদরাসায় শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে এলাকাবাসী যশোরের ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, পাথালিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট এএনএমএম মুনিরুজ্জামান ও মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাকির হোসেন তরফদার যোগসাজসে মাদরাসায় অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীর তুলনায় অধিক পরিমাণ ভূয়া ছাত্র-ছাত্রী দেখিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে সরকারি বই গ্রহণ করে অব্যবহৃত সরকারি বই বিক্রি করে আসছেন। তাছাড়া বর্তমানে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ৩০-৪০মণ সরকারি বই মাদরাসায় গুদামজাত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
অন্যদিকে মাদরাসায় গত ১৮-২-২০২৩ তারিখে ১জন সহ: সুপার, ১জন অফিস সহায়ক ও ১জন আয়া পদে মোট তিনজনকে নিয়োগ দিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০-১২লাখ টাকা করে ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্য সম্পন্ন করা হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যের একটি টাকাও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় না করে সমূদয় টাকা উভয়ে (সুপার ও সভাপতি) মিলে আত্মসাৎ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন উঠলে সুপারিন্টেন্ডেট নানা প্রচেষ্টায় উপজেলার আড়পাড়া মহিলা দাখিল মাদরাসায় নিয়োগ গ্রহণ করে চাকুরি করছেন। অপরদিকে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জাকির হোসেন তরফদার নিয়োগের পর থেকে অদ্যাবধি প্রতিষ্ঠানে আর গমনাগমণ করছেন না।
গত ৮অক্টোবর ৩০ জন এলাকাবাসী বিষয়টি লিখিত আকারে যশোরের ডিসি বরাবর অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। তাছাড়া অভিযোগের অনুলিপি দূর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, জেলা শিক্ষা অফিসার, অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি বরাবর দাখিল করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিষয়টি সম্পর্কে মাদরাসার সুপার এএনএমএম মুনিরুজ্জামান মোবাইল ফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। আমি বর্তমানে আড়পাড়া মহিলা দাখিল মাদরাসায় কর্মরত আছি।
মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাকির হোসেন তরফদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ০১৯৩৪-৮১৯৫৬৫ নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।