1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
দেশবরেণ্য কৃষিবিজ্ঞানী ড.এম গুল হোসেন - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রাম উলিপুরে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১ম দিনে অনুপস্থিত ৬৬, বহিষ্কার ২ নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির জয়লাভ ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ: নেতানিয়াহুর বিচার বাতিল করুন পদ্মায় ধরা পড়ল ২১ কেজির কাতল মাছ, বিক্রি ৩৮ হাজার টাকায় ইসরায়েলি গোয়েন্দার অডিও ফাঁস: “তালিকায় আছো, পালাও” নতুন বাংলাদেশ দিবস ও শহীদ আবু সাঈদ দিবস পালনের নির্দেশনা জারি চীনকে ইঙ্গিত? নিজ ভূখণ্ডে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল জাপান ইন্দিরা সরকারের অধীনে জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ: এক গ্রামের ত্যাগ ও ট্র্যাজেডি মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস হয়নি, দাবি পেন্টাগনের কুড়িগ্রাম পাউবোর ডা‌ম্পিংয়ে ধীরগতি, ভিটেহারা মানুষ

দেশবরেণ্য কৃষিবিজ্ঞানী ড.এম গুল হোসেন

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১১৭ জন খবরটি পড়েছেন

।। লক্ষ্মণ চন্দ্র মন্ডল।। ড. এম গুল হোসেন একজন এদেশের বরেণ্য কৃষি বিজ্ঞানী। ১৯৪২ সালের ২ মে টাঙ্গাইলের বীরসিংহ গ্রামে জন্ম। পিতা বাহাজউদ্দীন তালুকদারমাতা আন্জুমানআরা বেগমের ৫ পুত্র ৪ কন্যা সন্তানের মধ্যে এম গুল হোসেন ৩য় সন্তান।

তিনি ২ কন্যা সন্তানের জনক। তারা ২ জনই বিদেশে চাকরীরত ছিলেন। বর্তমানে ১ জন দেশে অবস্থান করছেন।

এম গুল হোসেন ১৯৬৩ সালে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান কৃষি ইনস্টিটিউশন, তেজগাঁও (বর্তমানে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে বেচেলর অব এগ্রিকালচার (বি এ জি) ডিগ্রি লাভ করে পূর্ব পাকিস্তান কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউশনে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে ক্রপ বোটানিতে প্রথম শ্রেনিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এম.এস.,সি (এ জি) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং সেখানে প্রথম প্রাইভেট কোম্পানি ও পরে ব্রিটিশ সিভিল সার্ভিসে চাকুরী করেন। স্কটল্যান্ডের সেন্ট এন্ড্রুজ ইউনিভার্সিটিতে স্নাতোকোত্তর গবেষণা স্কলারশিপ লাভ করে তিনি ১৯৭৫ সালে পিএইচডি লাভ করেন। পরে ১৯৭৬ সালে ব্রিটিশ সিভিল সার্ভিস ছেড়ে তিনি নাইজেরিয়াতে চলে যান। সেখানে তিনি ইউনিভার্সিটি অব নাইজেরিয়া ও ইউনিভার্সিটি অব কালাভার-এ ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।

তাঁর তত্ত্বাবধানে অনেক ছাত্র-ছাত্রী স্নাতোকোত্তর গবেষণা ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ যুক্তরাজ্য, সুইডেন, কানাডা, জাপান, নেদারল্যান্ডে সায়েন্টিফিক জানার্লে প্রকাশিত হয়। তাঁর গবেষণার ফলাফল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত টেক্সটবুকে রেফারেন্স হিসাবে উল্লেখিত হয়েছে। ১৯৮৮ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে যোগদান করেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও ফরমে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

তাঁর অন্যান্য কৃতিত্বের মধ্যে জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমের “ঝঞজঅঞঊএওঈ চষধহ ভড়ৎ ঃযব ঘধঃরড়হধষ অমরপঁষঃঁৎব ৎবংবংৎপয ংুংঃবস ঃড় ঃযব ুবধৎচ্২০১০ ধহফ নবুড়হফ ও এর সংকলন উল্লেখযোগ্য। তাঁর রচিত বই ইধহমষধফবংয অমৎরপঁষঃঁব অ পৎরঃঁয়ঁব ড়হব ঢ়বৎভড়ৎসধহপবং ্ ঈযধষষবহমবং ড়ভ ঞড়সড়ৎৎড় ি(২০০৫) বাংলাদেশে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তার রচিত গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ বাংলাদেশ ও ভারতে বিভিন্ন পুস্তকে প্রকাশিত হয়েছে।

ড. এম গুল হোসেন ১৯৯৮ সালে সরকারি চাকুরি ছেড়ে অবসর নেন। তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তজার্তিক সায়েন্টিফিক সংস্থার সাথে জাড়িত রয়েছেন এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় উপদেষ্টা হিসেবে ফ্রিল্যান্স কাজ করেন। তিনি ঝিনাইদহ জেলার মহেশ্বর চাঁদা গ্রামে কৃষকদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে এক অনন্য সাধারণ কৃষক সংগঠন গড়ে তোলেন। যা গ্রামের মানুষের বিপুল আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে।

২০০১ সালে তিনি মহেশ্বর চাঁদা গ্রামে কৃষকদের সাথে ভার্মি কম্পোস্ট নিয়ে কাজ শুরু করেন। ২০০৯-১০ সালে তিনি টঘউচ-জঊঙচঅ প্রকল্পে কনসালট্যান্ট হিসাবে দেশের কয়েকটি জেলায় ভার্মিকম্পোস্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচী পরিচালনা করেন এবং কৃষক কৃষাণীদের মাঝে ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদন ও ব্যবহারে উৎসাহ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। তার এই ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদন ও ব্যবহার প্রকল্প দেশের কৃষির প্রভুতঃ উন্নয়ন সাধিত হয়। অতপর: তিনি ৮০ বছর বয়সে ২০২২সালের ১৪ অক্টোবর ঢাকার মেট্রো হসপিটলে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ড. এম গুল হোসেন এর মরদেহ তাঁর নিজ বাড়িতে টাঙ্গাইলের বীরসিংহ গ্রামে সমাহিত করা হয়।

২০১২ সালের ৯,১০ও ১১ই মার্চ খাজুরা এম এন মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে “গাইদঘাট কৃষি প্রযুক্তি বাস্তবায়ন কেন্দ্র“ আয়োজিত গ্রামীন জীবনযাত্রা ও কৃষি প্রযুক্তি তথ্য,বীজ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে দেশের ৩০ জন গুনীজনের সম্মাননা প্রদান করা হয়। ওই সময় জীবদ্দশায় গুনীজন সম্মাননার মধ্যে জাতীয় বরেণ্য কৃষি বিজ্ঞানী ড. এম গুল হোসেন ছিলেন ৩০ জন গুনীজনের মধ্যে অন্যতম একজন।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews