দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের পর দেশে একসঙ্গে ৬৪৮ জন শপথবদ্ধ সংসদ সদস্য রয়েছে বলে বিতর্ক উঠেছে। বিভিন্ন মহল থেকেও এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
প্রকৃতপক্ষে এই মুহূর্তে সংসদ সদস্য হিসেবে বহাল রয়েছেন ৪৯৬ জন। এরমধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদের ৩৫০ জন। আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত ১৪৬ জন। এই নতুন মুখেরা আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র ও জাতীয় পার্টির হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সম্প্রতি বলেছেন, এ মুহূর্তে একাদশ সংসদের ৩৫০ জন আর ডামি দ্বাদশ সংসদের ২৯৮ জন; মোট ৬৪৮ জন শপথবদ্ধ এমপি রয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন ডাকলে দুই সংসদের সদস্যরাই তাতে যোগ দিতে পারেন। অথচ এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ।
এর পাল্টা জবাব দেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে একসঙ্গে ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য রয়েছে বলে যে বিতর্ক উঠেছে, তা ঠিক নয়। রাজনৈতিক কারণে সারাদেশে একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য এ বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মন্ত্রীর কার্যক্রম চালাতে কোনো অসুবিধা নেই। কোনো মন্ত্রী এমপি হিসেবে কোনো কাজ করছেন না। এমপির কার্যভার গ্রহণ করার পর মন্ত্রীরা এমপির কাজগুলো করবেন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে আইন শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, সংসদের মেয়াদের বিষয়ে সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি আগে ভেঙে না দিয়ে থাকলে প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পাঁচ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে। সংবিধানের বিধান মতে, ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৯ জানুয়ারি। সংবিধানের ১২৩ বিধান মানলে ওই সময়ের আগে এবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য দায়িত্ব নিতে পারছেন না। আবার ১৪৮ বিধান মতে, এক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকছে না।আমাদের সময় ডটকম