1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
বাঘারপাড়ায় আখের ভালো ফলন হলেও দাম নিয়ে শংঙ্কায় আখ চাষিরা - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন

বাঘারপাড়ায় আখের ভালো ফলন হলেও দাম নিয়ে শংঙ্কায় আখ চাষিরা

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪
  • ৬৪ জন খবরটি পড়েছেন

হুমায়ুন কবির,বাঘারপাড়া (যশোর)। যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় এবার আখের ফলন ভালো হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় খেত থেকে আগাম আখ কেটে বাজারে বিক্রি করছেন চাষিরা। তবে এবার ভালো দাম নিয়ে শংঙ্কায় রয়েছেন আখচাষিরা। অনুক‚ল আবহাওয়া এবং রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় আখের ফলন
ভালো হয়েছে বলে আখচাষি ও কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার আখের চাষ হয়েছে ৯৫ হেক্টর জমিতে। উপজেলার সব জমিতে এবার গেন্ডারি জাতের আখ চাষ হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুক‚ল থাকায় আখখেতে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম ছিল। এ ছাড়া এবার চাষিদের ভালো জাতের আখ চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারা ভালো জাত নির্বাচন করেছেন। এ কারণে উপজেলায় এবার আখের ফলন খুব ভালো হয়েছে।

উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের শুকদেবনগর, ছাইবাড়িয়া, নওয়াপাড়া, খলশী,বহরামপুর ও ইন্দ্রা গ্রামে বেশি আখ চাষ হয়েছে। এ ছাড়া জামদিয়া ইউনিয়নের দাঁতপুর ও করিমপুর; দরাজহাট ইউনিয়নের দরাজহাট, হাবুল্যা,মহিরন, লক্ষ্মীপুর এবং নারিকেলবাড়িয়া ও রায়পুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় আখ চাষ হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খেত থেকে আখ কাটা, পরিষ্কার করা এবং বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এ সময় কয়েকজন চাষি বলেন, এবার মৌসুমজুড়ে আবহাওয়া ভালো ছিল। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণও কম ছিল। এ জন্য এবার আখের ফলন ভালো হয়েছে।
দোহাকুলা গ্রামের আখচাষি তরিকুল ইসলাম এবার ১০ শতক জমিতে আখ চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আখের চারা ক্রয় থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। খেত থেকে আখ কেটে বিক্রি শুরু করেছি। আশা করছি, এবার ৪০ হাজার টাকার আখ বিক্রি করতে পারব।

দোহাকুলা গ্রামের কৃষক মন্টু মিয়া বলেন, এবার ৩৮ শতক জমিতে আখের চাষ করেছি। এতে আমার ১লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। আমি এখনো আখ কাটা শুরু করিনি। তবে এবার আখের দাম কম। পাইকারি প্রতিটি আখ ৫০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি,২ লাখ৫০ টাকার আখ বিক্রি করতে পারব।

শুকদেবনগর গ্রামের আখচাষি মুরাদ হোসেন বলেন, এ বছর ৫২ শতক জমিতে আখের চাষ করেছি। জমি লীজ নেওয়ার কারনে ২ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে, ফলন বেশ ভালো হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক অবস্থায় ভালো না থাকায় এবার আখের দাম কম। আশা করছি তিন লাখ টাকার মতো বিক্রি হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তরুণ রায় (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, এখন আখের দাম কিছুটা কম আছে। কয়েকদিন পরেই চাহিদা বেড়ে গেলে ভালো দাম পাবে কৃষক। এবার মৌসুমজুড়ে অনুক‚ল আবহাওয়া ছিল। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে চাষিদের পরামর্শ দিয়েছি।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews