নিজস্ব প্রতিনিধি। পূর্ব-পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা খুলনা রেঞ্জের সুন্দরবনের সীমিত পরিসরে গরান কাঠ কাটার দাবী করেছে বনজীবীরা। ৪ঠা জানুয়ারি শনিবার শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে লিখিত সংবাদ সম্মেলন পাঠ করেন-সুন্দরবন বনজীবি ব্যবসায়ী বাওয়ালী মালিক ফেডারেশনের সংগঠনিক সম্পাদক বদরুজ্জামান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন,পূর্ব-পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা খুলনা রেঞ্জে সুন্দরবনের দীর্য ১৭ বছর যাবৎ গরান কাঠ কাটা সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। ফলে গরান জ্বালানি আহরণ বন্ধ রয়েছে। এতে সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার জ্বালানী সংকট ও বনজীবীরা কর্মসংস্থানের অভাবে দুঃখ কষ্টে জীবন যাপন করছেন। সুন্দরবনের গরান গাছের ছায়ার কারণে বড় বড় প্রজাতির গাছ গুলো বেড়ে উঠতে পারছেনা এবং নতুন করে গাছ জন্মাচ্ছে না। সরকারের রাজস্ব হ্রাস পাচ্ছে।
গরান জ্বালানী কাঠ আহরণে বনজীবী -বাওয়ালীদের দাবীর প্রেক্ষিতে খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তারা সীমিত পরিসরে গরান কাঠ আহরণ সম্ভব মর্মে প্রতিবেদন দেন। তৎকালীন খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড.আবু নাসের মোহসিন হোসেন খুলনা বিভাগের ২ রেঞ্জ থেকে ৫০ হাজার মণ গরান জ্বালানি আহরণের স্বপক্ষে মতামত দিয়ে প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রদান করেন। সুন্দরবনে ব্যাপক হারে গরান বৃদ্ধি পাওয়া সুন্দরী, বাইন, ধুন্দল, পশুর সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বংশবৃদ্ধি করতে পারছে না।
রাজস্ব বৃদ্ধিতে সুন্দরবন বনজীবী বাওয়ালীরা সীমিত আকারে গরান জ্বালানি কাঠ আহরণের অনুমতির জন্য বনবিভাগ সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-সুন্দরবন বনজীবী ব্যবসায়ী বাওয়ালী মালিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুজ্জামান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলি, বাওয়ালী আব্দুল হাই, নুর মোহাম্মদ, সিরাজুল ইসলাম ও মফিদুল ইসলাম প্রমূখ।