1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
জুলাই অভ্যুত্থানে র‍্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ, কোড নাম ছিল ‘অপারেশন ক্লিনডাউন’: আমার দেশের অনুসন্ধান - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু, হামাসের প্রস্তুতি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণায় শ্যামনগরে আনন্দ মিছিল কুড়িগ্রামে হত্যা মামলায় আওয়ামীলীগ নেতা সাজু গ্রেফতার জেপিসি কমিটির বিরুদ্ধে মুসলিমসহ ভিন্নমত দমনের অভিযোগ মহাকুম্ভে পুণ্যার্থীদের জন্য মসজিদ-মাদ্রাসা ও ইমামবাড়ীর দরজা খুলে দিলেন মুসলিমরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লড়াইয়ে রণক্ষেত্র ফুসরা গ্রাম, আহত ৮ ফাঙ্গিও-মসের চালানো মার্সিডিজ স্ট্রিমলাইনার বিক্রি হলো ৬৫০ কোটি টাকায় দাবি না মানলে রেললাইন ছাড়ব না, শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি শেখ হাসিনাকে এক শ কোটি টাকা ঘুষ দেয়া, সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য লেখনী ও চিত্রে বাংলা ভাষা আন্দোলন ও অমর একুশ

জুলাই অভ্যুত্থানে র‍্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ, কোড নাম ছিল ‘অপারেশন ক্লিনডাউন’: আমার দেশের অনুসন্ধান

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৪ জন খবরটি পড়েছেন
জুলাই গনঅভ্যুত্থানে র_্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ কোড নাম ‘অপারেশন ক্লিনডাউন’

স্টাফ রিপোর্টার 

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে “জুলাই গনঅভ্যুত্থান” এর সময় আন্দোলন দমন করতে র‍্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে মারার পরিকল্পনা ও এই অভিযানের সাংকেতিক নামের আদ্যপান্ত।

আমার দেশের অনুসন্ধানে বলা হয়েছে বাংলাদেশে আন্দোলন দমনে প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণের অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির শংকরের বাসায়। এই পরিকল্পনার মূল উদ্ভাবক ছিলেন র‌্যাবের সাবেক ডিজি ব্যারিস্টার হারুন-অর-রশীদ। ডিএমপির তৎকালীন অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন ও তৎকালীন আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন এই পরিকল্পনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

এই অভিযানটির কোড নাম ছিল ‘অপারেশন ক্লিনডাউন’, যা জুলাই বিপ্লবের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে ব্যবহার করা হয়। র‌্যাবের বেল ৪০৭ হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ চালানো হয়েছিল যাত্রাবাড়ী, রায়েরবাগ এবং মিরপুরের মতো এলাকায়। এতে অনেক মানুষ নিহত ও আহত হন। নিহতদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী জোবাইদ হোসেন ইমন, গৃহবধূ সুমাইয়া (২০) এবং ৪ বছর বয়সী শিশু আব্দুল আহাদ উল্লেখযোগ্য।

র‌্যাবের বর্তমান ডিজি একেএম শহিদুর রহমান “আমার দেশ” পত্রিকাকে জানান, হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণসহ র‌্যাবের সব কার্যক্রমের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

অভিযানের সময় হেলিকপ্টার থেকে শুধু গুলিবর্ষণ নয়, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব। তবে এ ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মুখে র‌্যাব শুরুতে গুলিবর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।

আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার ব্যবহারের ঘটনা দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় তোলে। এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে এখন তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত অনেকেই বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews