1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
পিতা পরিচয়ে চাচা, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১৫ বছর ধরে শিক্ষিকার চাকরি! - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু বৃহস্পতিবার, অংশ নিচ্ছে ১২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের বিস্ফোরণে সাঁজোয়া যান ধ্বংস, নিহত সেনাদের নাম প্রকাশ ইসরায়েলের হামলায় ইরানে ১৪ বিজ্ঞানী নিহত, দাবি রাষ্ট্রদূতের নিউ ইয়র্কে প্রথম মুসলিম মেয়র প্রার্থী, চমক দেখালেন জোহরান মামদানি ইরানের পারমাণবিক হামলায় আংশিক সাফল্য , ফাঁস হওয়া তথ্যে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প শরণখোলায় অন্ধ ভিক্ষুকের বাড়িতে চুরি হতবাক এলাকাবাসী  রাজনৈতিক মঞ্চে ফিরে এলো জামায়াত: নিবন্ধন ও প্রতীক পুনর্বহাল করল ইসি নির্বাচনি মাঠে নতুন মেরুকরণ: পাঁচ ইসলামি দল এক হলেও জামায়াত বাইরে! ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মধ্যেই ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ, নিহত ১৩ ফ্যাসিস্টদের মতই জনবিরোধী বাজেট : মোমিন মেহেদী

পিতা পরিচয়ে চাচা, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১৫ বছর ধরে শিক্ষিকার চাকরি!

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৬২ জন খবরটি পড়েছেন

মিঠামইন প্রতিনিধি। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বোরণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তানিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভুয়া নিয়োগের মাধ্যমে ১৫ বছর ধরে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। তানিয়া আক্তারের চাচা মো. শরিফুল ইসলাম এই বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মিঠামইনের ঢাকী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা গোলাম ফারুক তার আপন ছোট ভাই জিতু মিয়ার মেয়ে তানিয়া আক্তারকে নিজের মেয়ে পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২০১০ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি পাইয়ে দেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, তানিয়া আক্তার গত ১৫ বছর ধরে সরকারি বিধি মোতাবেক সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।

তদন্তে জানা যায়, ঢাকী ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ওয়ারিশান সনদে মুক্তিযোদ্ধা গোলাম ফারুকের তিন কন্যা সন্তানের নাম রয়েছে – শারমিন স্মৃতি, রোজিনা বেগম ও রুনি আক্তার। অন্যদিকে, সহকারী শিক্ষিকা তানিয়া আক্তারের জাতীয় পরিচয়পত্রে তার পিতার নাম গোলাম ফারুক এবং মাতার নাম হেলেনা বেগম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে গোলাম ফারুকের অন্য দুই মেয়ে রোজিনা বেগম ও রুনি আক্তারের জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম গোলাম ফারুক এবং মাতার নাম লজ্জত বেগম লেখা রয়েছে। তানিয়া আক্তারের বাবা জিতু মিয়া এখনও জীবিত। এই অসঙ্গতিগুলির ভিত্তিতেই অভিযোগ দায়ের করেছেন গোলাম ফারুকের ভাই মো. শরিফুল ইসলাম।

এই বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা গোলাম ফারুকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে প্রথমে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানান, সাংবাদিকদের আগমনের খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা দরজা বন্ধ করে অন্যত্র চলে যান। পরবর্তীতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে গোলাম ফারুক প্রথমে জানান তিনি এলাকায় নেই, হাওরে গিয়েছেন। তবে কিছুক্ষণ পরই তাকে বাড়ির সামনে ধানক্ষেতে দেখা যায়। সেখানে সাক্ষাৎকার নিতে গেলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি এবং তানিয়া আক্তারকে নিজের সন্তান হিসেবে দাবি করেন। তবে একজন মেয়ের দুইজন জীবিত পিতা কিভাবে থাকতে পারেন, এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা তানিয়া আক্তার এই অভিযোগগুলিকে মিথ্যা এবং শত্রুতামূলক বলে দাবি করেছেন।

মিঠামইন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সাদিকুর রহমান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews