ডেস্ক নিউজ।
মাত্র ৮৭ ঘণ্টার এক সামরিক উত্তেজনায় ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। শেয়ারবাজার থেকে শুরু করে বিমান চলাচল, ক্রীড়াক্ষেত্র ও বিনিয়োগ—সবখানেই লেগেছে এই সংঘাতের আঁচ। এই সময়ে মোট ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৮৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
গত ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিটে ভারতীয় বিমান বাহিনী শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানে পাকিস্তানের ভেতরে নয়টি বেসামরিক স্থানে হামলা চালানো হয়। ২৩ মিনিটের এ হামলায় ব্যবহৃত হয় রাফাল যুদ্ধবিমান, দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং গ্লাইড বোমা। পরবর্তী চার দিন ধরে ভারতীয় ও ইসরায়েলি প্রযুক্তির ড্রোন দিয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও বিশ্লেষণ করে ভারত।
পাল্টা জবাবে পাকিস্তান চীনের তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান দিয়ে আকাশ প্রতিরক্ষা চালায়। তারা দাবি করে, এই সময়ে তারা তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান ও ১২টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এটি ছিল রাফাল বিমানের ইতিহাসে প্রথম যুদ্ধক্ষতি।
এই সংঘর্ষের ফলে ভারতের শেয়ারবাজারে ৮২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। যুদ্ধ পরিচালনা, যুদ্ধবিমান হারানো ও পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হওয়ার কারণে আরও বহু ক্ষতির মুখে পড়ে দেশটি। সব মিলিয়ে ভারতের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৩ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধান শেয়ার সূচক ৪.১ শতাংশ কমে যায় এবং বাজার মূলধন কমে যায় ২.৫ বিলিয়ন ডলার। সামরিক ব্যয়, আকাশসীমা বন্ধ, ও বিনিয়োগে আস্থাহীনতার কারণে দেশটির মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার।
এই সংঘর্ষ প্রমাণ করেছে, আধুনিক যুগে যুদ্ধ শুধু সামরিক সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ নেই। এটি বাজার, মুদ্রার মান, বিনিয়োগ ও জাতীয় আস্থাকেও বড় রকমের নাড়া দেয়।