জম্মু-কাশ্মিরে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করেছেন, পাকিস্তান যদি সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি ভেঙে যেতে পারে।
সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মোদি জানান, “আমরা শুধু আমাদের অভিযান স্থগিত রেখেছি, বন্ধ করিনি। এর ভবিষ্যত নির্ভর করছে পাকিস্তানের আচরণের ওপর।” তিনি বলেন, “ভারত আর কোনো রাষ্ট্রের পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না।”
গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন হিন্দু পর্যটক নিহত হন। এই হামলার দায় স্বীকার করে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ), যা পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরভিত্তিক লস্কর-ই তৈয়বার একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।
এ ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু নদী পানি চুক্তি পর্যালোচনা এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানও ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধসহ নানা পদক্ষেপ নেয়।
তবে উত্তেজনার মধ্যেই ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে সীমিত সামরিক অভিযান চালায়। নয়াদিল্লির দাবি অনুযায়ী, এতে ৭০ জন পাকিস্তানি সন্ত্রাসী নিহত হয়। যদিও ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিহত হয়েছে ৩১ জন এবং আহত হয়েছে ৫৭ জন।
‘অপারেশন সিঁদুর’-কে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নতুন নীতির প্রথম বাস্তব উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন মোদি। তিনি বলেন, “আমাদের বোনদের সিঁথি থেকে সিঁদুর যাঁরা মুছে দিয়েছে, তাদেরই জবাব দিতে পরিচালিত হয়েছে এই অভিযান।”