মনিরামপুর।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০ বছর অনুপস্থিত থেকেও এক ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই শিক্ষক বদরুজ্জামানকে নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত দেখাতে একাধিক সরকারি ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে।
২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিজয়রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) পদে বদরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির নিয়োগ দেখানো হয়। পরে ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি তাঁর যোগদান দেখানো হয়। তবে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষকরা জানিয়েছেন, বদরুজ্জামান নামে কোনো শিক্ষককে তাঁরা কখনো দেখেননি।
বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ইনছার আলী বলেন, “৩৭ বছরের কর্মজীবনে বদরুজ্জামান বা বাবু নামে কাউকে আমি নিয়োগ দিইনি। আমার স্বাক্ষরও জাল করা হয়েছে।” একইভাবে সাবেক সভাপতি ঝন্টু পাটোয়ারী বলেন, “আমার স্বাক্ষর কীভাবে রেজ্যুলেশনে এসেছে, তা আমার জানা নেই।”
প্রতিবাদস্বরূপ স্থানীয় জনতা বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার পাইনকে দুই দফা অবরুদ্ধ করে। তবে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অভিযোগে উঠে এসেছে, বদরুজ্জামান নিজেও স্বীকার করেছেন যে, তিনি কীভাবে এমপিওভুক্ত হয়েছেন, তার উত্তর প্রধান শিক্ষক দিতে পারবেন। “কত টাকা দিয়েছি সেটিও তিনি জানেন,” বলেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসের ছেলে রশিদ বিন ওয়াক্কাস বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। যদি প্রমাণ হয় আমার বাবার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে, তাহলে আমি কঠোর ব্যবস্থা নেব।”
মনিরামপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ এস এম বজলুর রশিদ জানান, নিয়োগটি পুরনো হওয়ায় যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যশোর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন জানান, ফাইল ডিজি অফিসে ফরোয়ার্ড করা হয়েছে এবং বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে।