1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
এই উপসর্গগুলো দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ১০:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধি, বাংলাদেশেও বাড়ছে কোভিড: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার: কাবুল বিশ্বের প্রথম ‘পানিশূন্য’ শহরে পরিণত হওয়ার পথে ভোররাতের দুর্ঘটনায় ঝরে গেল ১৫ প্রাণ, শোকস্তব্ধ মালয়েশিয়া শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে অভিনেতা জাহিদ হাসান, অবস্থা উন্নতির দিকে শরণখোলায় এতিমদের সাথে বিএনপি নেতার ঈদ পুনর্মিলনীতে রাজনৈতিক বার্তা মিয়ানমারে সাবেক জেনারেল হত্যায় ৬বছরের শিশুসহ গ্রেপ্তার ১৬ দুদকের ‘ভুল বোঝাবুঝি’ নিরসনে ড. ইউনূসের সহায়তা চাইলেন ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক বাঘারপাড়ায় ডোবায় ডুবে চার বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু শিবচরে কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ, মৃত্যুর রহস্য ঘনীভূত খুলনার রূপসায় একদিনে দুটি মৃত্যুর রহস্য

এই উপসর্গগুলো দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫
  • ৯ জন খবরটি পড়েছেন

স্বাস্থ্য ডেস্ক।

খাবার খাওয়ার পর নিয়মিত পেটব্যথা, গ্যাস, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? তাহলে এটি হতে পারে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস—এক ধরনের দীর্ঘমেয়াদি হজমজনিত অসুস্থতা, যা বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষকে প্রভাবিত করছে।

ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার (NHS) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনের একজন আইবিএস-এ ভোগেন। মেয়েদের মধ্যে এবং এশিয়ান শিশুদের মধ্যে এর প্রাদুর্ভাব তুলনামূলকভাবে বেশি। নয় থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের মাঝে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়, যদিও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপসর্গ অনেকাংশে কমে যায়।

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে, আইবিএস-এ আক্রান্ত হলে এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। এর নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই এবং কোনো নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা পদ্ধতিও নেই। তবে মানসিক চাপ, পারিবারিক ইতিহাস এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এর ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

আইবিএসের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে একটানা ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য, তলপেটে মোচড় দিয়ে ব্যথা, পেট ফাঁপা, পায়ুপথ থেকে শ্লেষ্মা নিঃসরণ, ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ, বমিভাব, ক্লান্তি, বুক জ্বালাপোড়া ও যৌনমিলনে ব্যথা ইত্যাদি। এই উপসর্গগুলো মাঝে মাঝে হলেও কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

আইবিএস পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য নয়, তবে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এবং উপসর্গভিত্তিক ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কোষ্ঠকাঠিন্যে আঁশযুক্ত খাবার যেমন ওটস, গাজর, ডাল খেতে বলা হয়। অন্যদিকে ডায়রিয়া হলে কম আঁশযুক্ত, জটিল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রতিদিন ফল খেতে পারলেও পরিমাণে সীমাবদ্ধতা রাখতে হয়।

আইবিএস আক্রান্তদের জন্য তেল-মসলাযুক্ত, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ক্যাফেইন ও ট্রান্সফ্যাটজাতীয় খাবার বর্জনীয়। খাবার প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে এবং চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পানি পানের পাশাপাশি ব্যায়াম ও ঘুম পর্যাপ্ত হওয়া জরুরি। মানসিক চাপ থাকলে তা দূর করতে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হবে।

যদি লক্ষণগুলো এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে, মলে রক্ত দেখা যায়, পেটের ব্যথায় ঘুম ভেঙে যায়, ওজন কমে যায় কিংবা বয়স ৫০ বছরের বেশি হয়, তবে দ্রুত গ্যাস্ট্রোলজি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews